কলকাতা, 23 এপ্রিল : উইকএন্ড অর্থাৎ শনিবারের রাত এলেই ত্রাস সৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে । কারণ, শনিবারের রাতে সবথেকে বেশি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে ৷ পাশাপাশি মদ্যপান করে গাড়ি চালানো এবং পুলিশের সঙ্গে বচসার ঘটনাও ঘটে (Breath analyser machine to stop reckless speed and drunk riders on weekends in Kolkata) ।
বিগত কয়েক বছর ধরে করোনার জন্য রাজ্যে লাগু ছিল 2005 সালের মহামারী আইন । পরবর্তীকালে করোনার প্রকোপ কমলে, সেই মহামারী আইনের ওপর ছাড় দেওয়া হয়েছে । উঠে উঠে গিয়েছে নাইট কারফিউ৷ ফলে মদ্যপ বাইক আরোহী থেকে শুরু করে বেপরোয়া মদ্যপ চার চাকার চালকের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ ৷ তাঁদের চিহ্নিত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কলকাতা পুলিশের কর্তব্যরত সার্জেন্টদের ।
লালবাজারের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসের মধ্যে এক সপ্তাহে শুধুমাত্র শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে প্রায় 100টি অভিযোগ জমা পড়েছে লালবাজারে । তাছাড়াও গত মাসে এক সপ্তাহে শুধুমাত্র শুক্রবার রাত থেকে রবিবার রাত বারোটা পর্যন্ত, শহরে 197 গাড়িকে বেপরোয়া ভাবে চালানোর অভিযোগে আটক করা হয় । তাছাড়াও গত এপ্রিল মাস থেকে এই চলতি মাসের মধ্যে বিনা হেলমেট, রাস্তা সিগন্যাল অমান্য করা, মদ্যপান করে বাইক চালানো, একটি বাইকে তিন থেকে চারজন বসে যাওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে বিশেষ করে উইকেন্ডে (সপ্তাহ শেষে) 500 টির উপর বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
এই পরিসংখ্যান দেখে সত্যিই চোখ কপালে ওঠে যাওয়ার জোগাড় লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগের আধিকারিকদের । ফলে এবার শহরের 25 টি ট্রাফিক গার্ডের অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 184 মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী, শহরের রাস্তায় বেপরোয়া গাড়িগুলিকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য । আর এবার সেই সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যেই 50টি নতুন ব্রিদ এনালাইজার মেশিন কিনতে চলেছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ (Kolkata Police to Buy Breath Analyser Machine) ।
এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক অরিজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতরকে জানানো হয়েছে তাঁদের 50টি নতুন ব্রিদ অ্যানালাইজার মেশিন লাগবে ।
আরও পড়ুন : Firhad's Claim about Sukanta : সুকান্ত মজুমদারের বাড়িতেও পাওয়া যেতে পারে অস্ত্র, দাবি ফিরহাদের