কলকাতা, 13 অক্টোবর: এবার কলেজের অধ্যাপকরা পড়াতে যাবেন স্কুলে। এই নিয়ে শুক্রবার সব জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন বিকাশ ভবনে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিরা। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন জেলাশাসকেরা। ঠিক হয়েছে প্রত্যেকটি জেলায় থাকবে হাব কলেজ ৷ শিক্ষাদফতরের নতুন এই ভাবনাকে বলা হচ্ছে 'হাব অফ লার্নিং'। জানা গিয়েছে, সেই হাব কলেজ থেকে পরিচালিত হবে স্কুল ও ওই এলাকার কলেজ।
আপাতত ঠিক করা হয়েছে, 17টি জেলায় 20টি ক্লাস্টার করা হয়েছে। এই 20টি জেনারেল ডিগ্রি কলেজকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ব্রাত্য বলেন, "হাব সন্নিহিত সরু সাঁকোগুলি। ওই সাঁকোর মধ্যে দিয়ে হাবে পৌঁছতে চাইছি। আবার হাব থেকেও সাঁকোয় আসতে চাইছি। এই দ্বিমুখী প্রক্রিয়ার ফলে জেলার স্কুলগুলির মান আরও বাড়াতে হবে। স্কুলের পড়ুয়ারা জানতে পারবে ওই সাবডিভিশনে আর কি কি কলেজ। এতে পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার বিষয়ে জানতে পারবে।" শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন বলেন, "একদিকে স্কুলের মধ্যে হাব রয়েছে। আবার উচ্চশিক্ষা ও স্কুলগুলির মধ্যে ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। বাস্তুতন্ত্রে যে সম্পদগুলি রয়েছে সেগুলিকে ব্যবহার করে শেখার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও বাঁধা যেন না থাকে এবং সম্পদগুলির যেন অপটিম্যাল ইউটিলাইজ করা যায়।"
এই হাব গড়ে তোলার প্রধান লক্ষ্য হল, স্কুল স্তরের শিক্ষাব্যবস্থার আরও উন্নতি ঘটানো। এই নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্কুলের সঙ্গে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির একটা যোগসূত্র তৈরি হবে। যাতে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরির বই-সহ অন্য পরিকাঠামো ভাগ করে ব্যবহার করা যায়। কলেজের শিক্ষকরা প্রয়োজনে স্কুলগুলিতে গিয়ে ক্লাস নিতে পারেন। স্কুলের পড়ুয়ারাও কলেজে আসতে পারে। এছাড়াও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্কুলের পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের পদ্ধতি, কেরিয়ার ইত্যাদি ব্যাপারেও সাহায্য করা হবে। এর ফলে সমগ্র এলাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে একটা সাম্য ও সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি হবে। রাজ্য শিক্ষানীতি অনুযায়ী, বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার পাঠের ধারণা আগেভাগেই দিতে এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের অর্থ অধ্যাপককে চার-পাঁচ অক্ষরের কথা বলা নয়, যাদবপুর প্রসঙ্গে বক্তব্য ব্রাত্যর