কলকাতা, 31 অক্টোবর: "আন্দোলন করলেই চাকরি নয়", সোমবার স্পষ্ট ভাবে একথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) । একইসঙ্গে তিনি বলেন, "নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হোক তা চাইছেন না বিরোধীরা । তাই বারেবারে আদালতে গিয়ে নিয়োগকে বিলম্বিত করছে ।" তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামিদিনে মেধা ও যোগ্যতা এই দুইয়ের ভিত্তিতে চাকরি হবে (Bratya Basu on Teacher Recruitment) ।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে । বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে আদালতও ৷ শুরু হয়েছে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও ৷ তবে এসবের মাঝেই অনড় চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে । কবে মিলবে চাকরি, তা এখনও জানা নেই । এবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ সোমবার তিনি বলেন, "আদালতের নির্দেশ মেনেই নিয়োগ হবে । আমাদের নতুন নিয়োগও করতে হবে । অতীতে কী ভুলে হয়েছে তা ধরে রেখে যদি পরবর্তী নিয়োগ ব্যাহত হয়, তাহলে নতুন প্রজন্মকে আমরা কী উত্তর দেব? বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে সবাই ঠিক শুধু বর্তমান সরকার ভুল । এই বিষয়টা সমাজের উপর খুব বাজে প্রভাব ফেলবে । চাকরি হবে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে তার সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই । নেট পাশ করলে সবাই চাকরি পায়? জয়েন্ট পাশ করলে সবাই ডাক্তার হতে পারে ? এটাই নিয়ম।"
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই খোলা যাবে পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট
তবে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে অবস্থানে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা (Bengal teacher recruitment)। আজ শিক্ষামন্ত্রীর মুখ থেকেই এই কথা শুনে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন তবে চাকরি পাওয়ার মাপকাঠিটা ঠিক কী? সাদা খাতা আর টাকা? এসএলএসটি'র একজন চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেন বলেন, "আমরা দেখেছি যারা অযোগ্য কিন্তু টাকা দিয়েছে তাঁদের চাকরি হয়েছে । অথচ যাদের মেধাতালিকায় নাম ছিল তাঁরা চাকরি পাননি । দীর্ঘদিন তাঁরা রাস্তায় পড়ে আছেন । তবে চাকরি পাওয়ার মাপকাঠি কি টাকা? অযোগ্যদের সরিয়ে আগে দ্রুত যোগ্যদের চাকরির ব্যবস্থা করুন শিক্ষামন্ত্রী । তারপর নতুন নিয়োগ হোক, তা হলেই কোনও সমস্যা থাকছে না ।"