কলকাতা, 2 জুন: রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের কোনও মতেই মানছে না শিক্ষা দফতর। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই কথা স্পষ্ট করেন দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার বিকাশ ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ব্রাত্য বসু। সেখানেই তিনি রাজ্যপালের আলোচনা প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি জানান, উচ্চশিক্ষা দফতর একটি তালিকা পাঠিয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু সেটা একতরফা বিবেচনা করেই দফতরের সঙ্গে কোন রকম আলোলনা না করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এমনকি শিক্ষামন্ত্রী এও জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপাচার্যহীন হওয়ার আগেই উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে প্রস্তাব গিয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি কলকাতা ও দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
গত বৃহস্পতিবারের রাজ্যপাল যে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং তার জন্য আদালতের দারস্থ হবে উচ্চশিক্ষা দফতর । সে কথা আগেই স্পষ্ট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার তিনি জানান, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। তবে এই দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল তা করেননি। ফলে গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকে বলে জানতাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের গণতন্ত্র শব্দটি তুলে দেওয়ার জন্য যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এটি তারই একটা পুনরাবৃত্তি।"
আরও পড়ুন: নিয়ম ভাঙাকে উৎসাহিত করছেন রাজ্যপাল, অভিযোগ প্রাক্তন ও বর্তমান উপাচার্যদের
প্রসঙ্গত, 11 জন অধ্যাপককে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁদেরকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি টুইট করে নবনিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল।