ETV Bharat / state

চিরকুট সহ যুবতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, লেখা "মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম" - young girl body was recovered from hotel in New Town along with the notes

নিউটাউনের হোটেলের দোতলায় রুম থেকে তরুণীর নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার ৷ দেহের পাশে উদ্ধার হয়েছে একটি চিরকুট ৷ তাতে লেখা, "মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম" ৷

যুবতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
যুবতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
author img

By

Published : Dec 23, 2020, 5:53 PM IST

নিউটাউন, 23 ডিসেম্বর : ঘড়িতে তখন প্রায় 10 টা ৷ শীতের দাপটে নিউটাউনে তখন প্রায় মধ্যরাত ৷ রাস্তা ঘাট সম্পূর্ণ ফাঁকা ৷ এই সময় বেজে উঠল টেকনোসিটি থানার ফোনের ঘন্টি ৷ ফোনের ওপার থেকে জানানো হয় নিউটাউনের ডিডি ব্লকের একটি হোটেলে খুন হয়েছেন এক যুবতি ৷ খবর পেয়েই দুই কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ছুটলেন সিনিয়র ইন্সপেক্টর সৌমিত্র ঘোষ ৷

যখন ওই হোটের সামনে পৌঁছে গাড়ির চাকা থামল ঘড়ির ছোটো কাঁটা প্রায় 11 টা ছুঁইছুঁই ৷ গাড়ি থেকে নেমে হোটেলে ঢুকলেই টেকনোসিটি থানার ওই সিনিয়র ইন্সপেক্টর ৷ হোটেলের এক কর্মী তাঁদের রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে গেলেন দোতলার একটি ঘরে ৷ রুম নম্বর 201 ৷ দরজায় তখনও ঝুলছে মাস্টার চাবি ৷ দরজাটা হাত দিয়ে সামান্য ঠেলতেই দেখাগেল বিছানার উপর পড়ে রয়েছে নগ্ন যুবতির দেহ ৷ ধারাল কিছু দিয়ে বারবার আঘাতের দাগ স্পষ্ট শরীরে ৷ সেখান থেকে ক্রমাগত রক্ত বেরচ্ছে ৷ বিছানার সাদা চাদর মিলে গিয়েছে রক্তের লাল রঙে ৷ ওই ঘরের এক কোণে পড়ে রয়েছে বিয়ারের ভাঙা বোতলের টুকরো ৷ সেটি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে খুনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে সেটি ৷ পুলিশি পরিভাষায় যা "মার্ডার ওয়েপেন" ৷ মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি চিরকুট। তাতে লেখা, " মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম।"

হোটেল সূত্রে খবর, গতকাল বেলা 1টা নাগাদ হোটেলের রিসেপশনে এসে হাজির হন এক যুগল ৷ নিজেদের পরিচয় পত্র জমা দিয়ে দোতলার 201 নম্বর ঘরে ওঠেন তাঁরা ৷ পরিচয় পত্র থেকে জানা গিয়েছে মৃত যুবতির নাম চম্পা ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তবে, যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ হোটেলের এক কর্মী সূত্রে খবর, ওই যুগলের উভয়ের বয়স ও 25-এর কাছাকাছি ৷

আরও পড়ুন : সল্টলেক থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ, গ্রেপ্তার দুই

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেলের এক কর্মী জানিয়েছেন, দুপর দু'টো নাগাদ খবর অর্ডার করেন তাঁরা। খাবার দিতে গেলে তাঁরা জানান, সন্ধে সাতটা নাগাদ রুম থেকে চেক-আউট করবেন তাঁরা ৷ কিন্তু আটটা বেজে গেলেও তাঁদের রিসেপশনে দেখা যায়নি ৷ তারপরই দোতলার 201 নম্বর ঘরের দরজার কলিংবেল বাজান হোটেলের এক কর্মী ৷ কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সারাশব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ তবে ঘরের ভিতরে চলা টিভির শব্দ শোনা যাচ্ছিল দরজার বাইরে থেকে ৷ সন্দেহ হওয়ায় মাস্টার চাবি দিয়ে দরজা খোলা হয় ৷ কিন্তু ঘরের ভিতরের ওই দৃশ্য দেখে চোখ কপালে ওঠে ওই কর্মীর ৷

আরও পড়ুন : কোথায় তান্ত্রিক? সল্টলেকে যুবকের মৃত্যু-তদন্তে ত্রিশূল-লাল তিলকের রহস্য খুঁজছে পুলিশ

তারপরই খবর দেওয়া হয় টেকনোসিটি থানায় ৷ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের সিসিটিভি দেখে যুবককে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ সিসিটিভি থেকে জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল চারটে নাগাদ হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়া অভিযুক্ত যুবক ৷ অভিযুক্ত ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র ইন্সপেক্টর সৌমিত্র ঘোষ।

নিউটাউন, 23 ডিসেম্বর : ঘড়িতে তখন প্রায় 10 টা ৷ শীতের দাপটে নিউটাউনে তখন প্রায় মধ্যরাত ৷ রাস্তা ঘাট সম্পূর্ণ ফাঁকা ৷ এই সময় বেজে উঠল টেকনোসিটি থানার ফোনের ঘন্টি ৷ ফোনের ওপার থেকে জানানো হয় নিউটাউনের ডিডি ব্লকের একটি হোটেলে খুন হয়েছেন এক যুবতি ৷ খবর পেয়েই দুই কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ছুটলেন সিনিয়র ইন্সপেক্টর সৌমিত্র ঘোষ ৷

যখন ওই হোটের সামনে পৌঁছে গাড়ির চাকা থামল ঘড়ির ছোটো কাঁটা প্রায় 11 টা ছুঁইছুঁই ৷ গাড়ি থেকে নেমে হোটেলে ঢুকলেই টেকনোসিটি থানার ওই সিনিয়র ইন্সপেক্টর ৷ হোটেলের এক কর্মী তাঁদের রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে গেলেন দোতলার একটি ঘরে ৷ রুম নম্বর 201 ৷ দরজায় তখনও ঝুলছে মাস্টার চাবি ৷ দরজাটা হাত দিয়ে সামান্য ঠেলতেই দেখাগেল বিছানার উপর পড়ে রয়েছে নগ্ন যুবতির দেহ ৷ ধারাল কিছু দিয়ে বারবার আঘাতের দাগ স্পষ্ট শরীরে ৷ সেখান থেকে ক্রমাগত রক্ত বেরচ্ছে ৷ বিছানার সাদা চাদর মিলে গিয়েছে রক্তের লাল রঙে ৷ ওই ঘরের এক কোণে পড়ে রয়েছে বিয়ারের ভাঙা বোতলের টুকরো ৷ সেটি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে খুনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে সেটি ৷ পুলিশি পরিভাষায় যা "মার্ডার ওয়েপেন" ৷ মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি চিরকুট। তাতে লেখা, " মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম।"

হোটেল সূত্রে খবর, গতকাল বেলা 1টা নাগাদ হোটেলের রিসেপশনে এসে হাজির হন এক যুগল ৷ নিজেদের পরিচয় পত্র জমা দিয়ে দোতলার 201 নম্বর ঘরে ওঠেন তাঁরা ৷ পরিচয় পত্র থেকে জানা গিয়েছে মৃত যুবতির নাম চম্পা ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তবে, যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ হোটেলের এক কর্মী সূত্রে খবর, ওই যুগলের উভয়ের বয়স ও 25-এর কাছাকাছি ৷

আরও পড়ুন : সল্টলেক থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ, গ্রেপ্তার দুই

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেলের এক কর্মী জানিয়েছেন, দুপর দু'টো নাগাদ খবর অর্ডার করেন তাঁরা। খাবার দিতে গেলে তাঁরা জানান, সন্ধে সাতটা নাগাদ রুম থেকে চেক-আউট করবেন তাঁরা ৷ কিন্তু আটটা বেজে গেলেও তাঁদের রিসেপশনে দেখা যায়নি ৷ তারপরই দোতলার 201 নম্বর ঘরের দরজার কলিংবেল বাজান হোটেলের এক কর্মী ৷ কিন্তু ভিতর থেকে কোনও সারাশব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ তবে ঘরের ভিতরে চলা টিভির শব্দ শোনা যাচ্ছিল দরজার বাইরে থেকে ৷ সন্দেহ হওয়ায় মাস্টার চাবি দিয়ে দরজা খোলা হয় ৷ কিন্তু ঘরের ভিতরের ওই দৃশ্য দেখে চোখ কপালে ওঠে ওই কর্মীর ৷

আরও পড়ুন : কোথায় তান্ত্রিক? সল্টলেকে যুবকের মৃত্যু-তদন্তে ত্রিশূল-লাল তিলকের রহস্য খুঁজছে পুলিশ

তারপরই খবর দেওয়া হয় টেকনোসিটি থানায় ৷ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের সিসিটিভি দেখে যুবককে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ সিসিটিভি থেকে জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল চারটে নাগাদ হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়া অভিযুক্ত যুবক ৷ অভিযুক্ত ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র ইন্সপেক্টর সৌমিত্র ঘোষ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.