ETV Bharat / state

ভরতি নেয়নি হাসপাতাল, সেই হতাশায় সপরিবারে আত্মহত্যা ? ঠাকুরপুকুরে রহস্য

author img

By

Published : Jun 9, 2020, 3:59 PM IST

জ্বর অবস্থায় এ হাসপাতাল থেকে সে হাসপাতাল করে বেড়ান 80 বছরের বৃদ্ধ গোবিন্দ বাবু ও তাঁর পরিবার ৷ কিন্তু কোথাও মেলেনি চিকিৎসার সুযোগ ৷ আজ সকালে উদ্ধার হল বাবা, মা ও ছেলের মৃতদেহ ৷

Thakurpukur
ঠাকুরপুকুরে সপরিবারে আত্মহত্যা

কলকাতা, 9 জুন : ঘুরেছেন সরকারি হাসপাতালে দরজায় দরজায়। অভিযোগ, ভরতি হওয়ার সুযোগ পাননি 80 বছরের বৃদ্ধ । শরীরে জ্বর ছিল । সেই সূত্রে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার‌ । আর আজ সকালে উদ্ধার হল তাদের মৃতদেহ । প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে গোটা পরিবার ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের নাম গোবিন্দ কর্মকার(80), রুনু কর্মকার(70) এবং তাদের ছেলে দেবাশিস কর্মকার(50) । থাকেন ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার সত্যনারায়ণ পল্লীর একটি বাড়িতে । ছোটবেলা থেকেই দেবাশিসের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা ছিল । তিনি বিয়ে করেননি । আজ সকালে গোবিন্দবাবুর দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় । মা এবং ছেলের দেহ খাটের মধ্যে পাওয়া যায় । অদ্ভূতভাবে দেখা যায় মশারি টাঙিয়ে যেন দুজনে ঘুমোচ্ছেন । ঘরের দরজা হাট করে খোলা ছিল । প্রতিবেশীরাই প্রথম বিষয়টি দেখতে পায় । ঘরের মেঝেতে চক দিয়ে লেখা ছিল,“আমরা তিনজনেই মৃত ।’’ খাটের উপর একটি বাটিতে লেখা ছিল, “এতে বিষ আছে, সাবধান!’’ সেই সূত্রেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিষ খেয়ে সপরিবারে আত্মহত্যা করেছে কর্মকার পরিবার ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রবিবার মিষ্টি আনতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান গোবিন্দবাবু । পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে । তখন বোঝা যায় গোবিন্দবাবুর শরীরে জ্বর রয়েছে । তারা খবর দেন ঠাকুরপুকুর থানায় । অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পুলিশ আসে । একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবারের তিনজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় । প্রতিবেশীদের চারজন সঙ্গে যায় । অভিযোগ, বিদ্যাসাগর হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশকর্মীদের আর পাওয়া যায়নি । এদিকে শরীরে জ্বর থাকায় কোরোনা সন্দেহে বিদ্যাসাগর হাসপাতাল ওই তিনজনকে বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেফার করে ।

পুলিশের তরফে জানানো হয় ওই অ্যাম্বুলেন্সটি চলে যাবে লালবাজার থেকে অন্য অ্যাম্বুলেন্স আসবে । রাত আটটাতেও সেই অ্যাম্বুলেন্স আর আসেনি । এরপর আগের অ্যাম্বুলেন্সে করে কর্মকার পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । অভিযোগ,সেখানেও চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি । রাত আড়াইটে নাগাদ ওই অ্যাম্বুলেন্সটি ছেড়ে দিয়ে যায় কর্মকার পরিবারকে । তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা । আজ সকালে উদ্ধার হল মৃতদেহ । পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে । পাশাপাশি সোয়াবের নমুনা পরীক্ষাও করা হবে বলে জানা যাচ্ছে । ময়নাতদন্তের পরেই পরিষ্কার হবে মৃত্যুর সঠিক কারণ ।

কলকাতা, 9 জুন : ঘুরেছেন সরকারি হাসপাতালে দরজায় দরজায়। অভিযোগ, ভরতি হওয়ার সুযোগ পাননি 80 বছরের বৃদ্ধ । শরীরে জ্বর ছিল । সেই সূত্রে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার‌ । আর আজ সকালে উদ্ধার হল তাদের মৃতদেহ । প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে গোটা পরিবার ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের নাম গোবিন্দ কর্মকার(80), রুনু কর্মকার(70) এবং তাদের ছেলে দেবাশিস কর্মকার(50) । থাকেন ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার সত্যনারায়ণ পল্লীর একটি বাড়িতে । ছোটবেলা থেকেই দেবাশিসের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা ছিল । তিনি বিয়ে করেননি । আজ সকালে গোবিন্দবাবুর দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় । মা এবং ছেলের দেহ খাটের মধ্যে পাওয়া যায় । অদ্ভূতভাবে দেখা যায় মশারি টাঙিয়ে যেন দুজনে ঘুমোচ্ছেন । ঘরের দরজা হাট করে খোলা ছিল । প্রতিবেশীরাই প্রথম বিষয়টি দেখতে পায় । ঘরের মেঝেতে চক দিয়ে লেখা ছিল,“আমরা তিনজনেই মৃত ।’’ খাটের উপর একটি বাটিতে লেখা ছিল, “এতে বিষ আছে, সাবধান!’’ সেই সূত্রেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিষ খেয়ে সপরিবারে আত্মহত্যা করেছে কর্মকার পরিবার ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রবিবার মিষ্টি আনতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান গোবিন্দবাবু । পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে । তখন বোঝা যায় গোবিন্দবাবুর শরীরে জ্বর রয়েছে । তারা খবর দেন ঠাকুরপুকুর থানায় । অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পুলিশ আসে । একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবারের তিনজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় । প্রতিবেশীদের চারজন সঙ্গে যায় । অভিযোগ, বিদ্যাসাগর হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশকর্মীদের আর পাওয়া যায়নি । এদিকে শরীরে জ্বর থাকায় কোরোনা সন্দেহে বিদ্যাসাগর হাসপাতাল ওই তিনজনকে বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেফার করে ।

পুলিশের তরফে জানানো হয় ওই অ্যাম্বুলেন্সটি চলে যাবে লালবাজার থেকে অন্য অ্যাম্বুলেন্স আসবে । রাত আটটাতেও সেই অ্যাম্বুলেন্স আর আসেনি । এরপর আগের অ্যাম্বুলেন্সে করে কর্মকার পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । অভিযোগ,সেখানেও চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি । রাত আড়াইটে নাগাদ ওই অ্যাম্বুলেন্সটি ছেড়ে দিয়ে যায় কর্মকার পরিবারকে । তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা । আজ সকালে উদ্ধার হল মৃতদেহ । পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে । পাশাপাশি সোয়াবের নমুনা পরীক্ষাও করা হবে বলে জানা যাচ্ছে । ময়নাতদন্তের পরেই পরিষ্কার হবে মৃত্যুর সঠিক কারণ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.