কলকাতা, 28 নভেম্বর: পরীক্ষা শুরুর আগেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো ইংরেজি প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল নেই আসলের (D.EL.ED Exam Question Leak)! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল প্রশ্নপত্র ! এই অভিযোগ ওঠায় নতুন করে বিতর্ক ছড়াল ৷ এই ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই কমিটি গড়ে তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Board President of Primary Education)। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, এটা প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়, বিশ্বাসঘাতকতা । অভিযোগ প্রমাণ হলেই দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি ।
প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ মেলে ডিএলএড কোর্সে । দু’বছরের কোর্সে চারটি সেমেস্টার হয় । সোমবার এডুকেশনাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল । পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অন্য সেন্টারে এ বার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । পাশাপাশি এ বারের পরীক্ষা ঘিরে রাখা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ।
তবু এ দিন পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি পোস্ট করা হয় । পরীক্ষা শেষের পর দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে পরীক্ষার প্রশ্ন । যা ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় । পরীক্ষা শেষের পরই তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল । তিনি জানান, "10 টা 47 মিনিট নাগাদ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে দাবি করা হচ্ছে । 11টার মধ্যে সব পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে ঢুকে পড়েছিলেন । ফলে সামান্য় কিছু সময়ের মধ্যে সব পরীক্ষার্থী সেই প্রশ্নপত্র দেখে পরীক্ষা দিয়েছেন, এটা মানি না ।"
আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো ইংরেজি প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল নেই আসলের
গৌতম পাল আরও জানান, পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ জানালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে । পরীক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তবে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে । তারা দেখবেন ব্যাপারটা । একইসঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, “দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে । কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি । যাঁরা প্রশ্ন তৈরি করছেন গোপনীয়তা তাঁদেরও দায়িত্ব । এটা প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়, পর্ষদের-সরকারের সম্মানহানির চেষ্টা ।”