কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: একদিকে সরস্বতী পুজো, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা । বইয়ের সম্ভারের মাঝেই বিদ্যার দেবীর আরাধনা । এমনই মাহেন্দ্রক্ষণে রবি ও সোমবার দুইদিনেই ভিড় উপচে পড়ল 48তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় । বাগদেবীর আরাধনা সেরেই বইয়ের জগতে ঝাঁপ দিয়েছেন বহু মানুষ ৷ তার উপর সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালির প্রেম দিবস । কাজেই শাড়ি, পাঞ্জাবি পরে বহু যুগলের ডেস্টিনেশন কলকাতা বইমেলা ৷
বরাহনগর থেকে এসেছেন দেবায়ন চৌধুরী । তিনি বলেন, "বহু দূর থেকে এই দুই দিন বইমেলায় এসেছেন বইপ্রেমীরা । বাণীবন্দনা, তার সঙ্গে বসন্ত পঞ্চমী, বইমেলা, এর থেকে বড় সমাপতন আর কিছু হতে না । এত মানুষ অঞ্জলি দিয়ে সামিল হয়েছেন বইমেলায় । এর থেকে বড় মাহেন্দ্রযোগ আর হয় না ।"
ডানলপ থেকে এসেছেন রোহন রায় । এই বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা বই । তিনি বলেন, "এই বছরটা আমার কাছে স্পেশাল, কারণ আমার বই প্রকাশ পেয়েছে । তার সঙ্গে সরস্বতী পুজোতে এত মানুষ এসেছেন । পুজোর পাশাপাশি বইমেলাটাকেও মানুষজন এত গুরুত্ব দিচ্ছেন, এটা দেখে আমার ভালো লাগছে ।" হাতিবাগান থেকে এসেছেন সুতনুকা ৷ তিনি বলেন, "বইমেলাটা কোনও মেলা নয়, এটা দুর্গাপুজোর মতো । তাই একটা বছর আমরা অপেক্ষায় থাকি । আমি বারবার মেলায় আসছি ।"
বাঁশদ্রোণী থেকে এসেছেন পিউ সাহা দাস । তিনি বলেন, "বইমেলা একটা আবেগ । আগে ময়দানে হত, আমাদের একটু সুবিধা হত । এখন করুণাময়ীতে চলে আসায় এখানে আসাটা কম হয় । কিন্তু আমার বিয়ের পর এটা প্রথম সরস্বতী পুজো, তারই মধ্যে বইমেলায় এসেছি, ফলে খুবই ভালো লাগছে ।"
আরেক বইপ্রেমী দেবস্মিতা বলেন, "আমরা দু'জনে মিলে এসেছি । খাওয়া দাওয়া চলছে । আজ সরস্বতী পুজো আজ। তাই আরও ভালো লাগছে ৷" বাগুইআটি থেকে এসেছেন রূপসা ভারতী ৷ তিনি বলেন, "আগে বাবার সঙ্গে আসতাম, এখন বন্ধুর সঙ্গে আসি । কিন্তু এখন বইমেলায় আসা কমে গিয়েছে ।" রাজারহাট থেকে নন্দিনী ঘোষ বলেন, "এর আগেও একবার সরস্বতী পুজোর মধ্যে বইমেলা পড়েছিল । আমি তখনও এসেছিলাম । পুজোটা কম, বইমেলাতেই আমার বেশি আনন্দ হয় ৷"