কলকাতা, 15 জুন : কেরালা পারলে এই রাজ্য কেন পারল না, কটাক্ষ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর । মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেরালা সরকার শুধু সফলভাবে সংগঠিত করাই নয়, ফলও প্রকাশ করেছে । হোটেল, পানশালা, শপিং মল সব খোলা অথচ স্কুল, কলেজ বিদ্যালয় বন্ধ বর্তমান শিক্ষা এখন অন্ধকারে । এই রাজ্যের সরকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করছে বলেও কড়া সমালোচনা প্রবীণ সিপিএম নেতার । তার মতে তুঘলকি রাজত্ব চলছে ।
রাজ্যে কার্যত লকডাউনের বিধিনিষেধের শিথিলতায় পরিকল্পনার ছাপ দেখতে পাননি । কারণ অফিস কাছারি নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী নিয়ে খোলার কথা বলা হলেও তাদের যাতায়াতের কোনও ব্যবস্থার হদিশ নেই নির্দেশে । যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে তারা অফিসে পৌঁছতে পারবেন । বাকি কর্মীরা কীভাবে যাবেন তার কোনও উল্লেখ নেই । পেটের টানে চাকরি বাঁচাতে মানুষ সাইকেলে ভর করে এত দূরত্ব অতিক্রম করছেন ।
দোকান বাজার খোলার সময়সীমা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক বার সতর্ক করেও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী । বাজার-হাট, কর্মক্ষেত্র খোলা অথচ কর্মীদের পৌঁছনোর পথ নেই । রানাঘাট থেকে ক্যানিং, বনগাঁ থেকে নামখানা সাধারণ মানুষ কর্মক্ষেত্রে পৌছনোর পথ খুজতে গিয়ে দিশেহারা । কাজ হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত । কীভাবে চালাবেন সংসার না খেতে পেয়ে মরতে হবে ।
আরও পড়ুন...দেনা মেটাতে দলীয় কার্যালয়ের জন্য কেনা জমি বিক্রি করল সিপিএম
পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের দলত্যাগ বিরোধী প্রবণতায় তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিচারিতার দিকেও আঙুল তুলেছেন । দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রণয়নে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে একমত সুজন চক্রবর্তী । তবে এই আইন প্রনয়ন এবং বাস্তবায়নে দ্বিচারিতা করলে হবে না বলে মনে করেন প্রবীণ সিপিএম নেতা । তার অভিযোগ রাজ্যের শাসক দল এই বিষয়ে রাজ্য এবং দিল্লিতে দ্বৈত অবস্থান নিচ্ছে । এই অবস্থায় লোকসভা এবং বিধানসভার স্পিকারদের সক্রিয় হতে হবে । কারণ সংবিধানে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে । ভোটের কালি হাত থেকে এখনও সম্পূর্ণ ভাবে ওঠেনি অথচ বিজয়ী বিধায়করা দল পরিবর্তনে নেমে পড়েছেন । এই প্রবণতায় রাশ টানতে রাজ্যের শাসক দল উদ্যোগী । দলত্যাগীদের সদস্য পদ খারিজের পক্ষেও সওয়াল সুজন চক্রবর্তীর ।এদিন তিনি অতীতের উদাহরণও টেনে সরব হয়েছেন ।
আরও পড়ুন...ফরোয়ার্ড ব্লকের দ্বিমুখী অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন আলিমুদ্দিনের অন্দরে
বিধানসভা স্পিকারের কাছে মোট তেইশ বার এই বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সহ অভিযোগ জমা দিয়েও সমস্যার হাল হয়নি । আদতে বিধানসভায় যার বিরুদ্ধে দলত্যাগের অভিযোগ সেই বিধায়ক যেহেতু শাসক দলে যোগ দিয়েছিলেন তাই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে ।
আবার তিনি বিরোধী দল বিজেপিতে যোগ দিলেও শাসকদল এড়িয়ে গিয়েছে । আসলে বিধানসভার স্পিকার এই বিষয়ে তার ক্ষমতা থাকলেও নজর এড়ানোর চেষ্টা করেছেন । একই ছবি সংসদেও,যার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস । তাদের এই আচরণকে দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করেছেন সুজন চক্রবর্তী । তার অভিযোগ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে লাভ হয়নি ।