কলকাতা, 19 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের 68 নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হল রক্তমাখা জামা-প্যান্ট ও রুমাল ৷ শুক্রবার দুপুরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময়ই এই রক্তমাখা জামা-প্যান্ট ও রুমাল উদ্ধার হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ ওই সূত্র জানাচ্ছে যে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে যে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী মৃত ছাত্রের কি না !
গত 9 অগস্ট গভীর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্য়ু হয় ৷ এই ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে ৷ কলকাতা পুলিশের কাছে ব়্যাগিং করে ছেলে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত ছাত্রের বাবা ৷ তদন্তে এখনও পর্যন্ত তিন দফায় 12 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতদের মধ্যে একজন সপ্তক কামিল্যা ৷ শুক্রবার দুপুরে তাঁকে নিয়ে মেন হস্টেলে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি বিদিশা কালিতা ৷ সঙ্গে ছিলেন পুলিশের আরও অনেক আধিকারিক ৷
আরও পড়ুন: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার শান্তশিষ্ট নাসিম ছিলেন 'গ্রামের গর্ব' !
সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় ৷ ওই ছাত্র যে ঘরে থাকতেন, সেই 68 নম্বর ঘরেও যান তদন্তকারীরা ৷ সেখান থেকেই উদ্ধার হয় রক্তমাখা জামা-প্যান্ট ও রুমাল ৷ সেগুলি আপাতত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, ওই রক্তমাখা জামা-প্যান্ট ও রুমাল মৃত ছাত্রের হতে পারে ৷ ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তবেই এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন তদন্তকারী ৷
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি রক্তমাখা জামা-প্যান্ট ও রুমাল মৃত ছাত্রের হয়, তাহলে সেগুলি কি মৃত্যুর আগে খুলে নেওয়া হয়েছিল ? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে ? এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর আপাতত খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷ যেহেতু হস্টেলের ভেতরে ও বাইরে কোনোরকম সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, তার ফলে তদন্তে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতারির পর মুর্শিদাবাদের হিমাংশুর বাড়িতে তালা, বেপাত্তা পরিবার !
আপাতত তাই অভিযুক্তদের জেরা করে পাওয়া তথ্যেই বড় ভরসা তদন্তকারীদের ৷ সেই কারণে দফায় দফায় ধৃতদের জেরা চলছে ৷ তাদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে ৷ এখন দেখার এই ঘটনায় আরও কোনও তথ্য পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে কি না !