কলকাতা, 28 এপ্রিল: বিজেপির যুব মোর্চা কর্মীদের রাজভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ৷ পুলিশ ব্যরিকেড ভাঙার অভিযোগ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় ধ্বস্তাধ্বস্তি পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ৷ প্রায় 40-45 জন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে ৷ শুক্রবারের এই ঘটনায় ধর্মতলায় বেশ কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয় ৷
একদিকে কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার উপরে অত্যাচার ও খুনের ঘটনা অন্যদিকে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিজেপির যুব মোর্চা ৷ শুক্রবার এই ঘটনার প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার তরফ থেকে রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিজেপির প্রধান কার্যালয় 6 নম্বর মুরলিধর সেন লেন থেকে শুরু হয়েছিল এই মিছিল ৷ কিছুক্ষণ পরেই বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ডরিনা ক্রসিংয়ের দিকে এগোতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ মুহূর্তে এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ৷ রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা ৷ পরিস্থিতি ধীরে ধীরে হাতে বাইরে চলে গেল শুরু হয় ধরপাকড় ৷ মহিলা পুলিশ কর্মীরা চ্যাঙদোলা করে বিজেপি-র যুব মহিলা কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে তুলতে থাকে ৷ প্রায় 40-45 জন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে ৷
আরও পড়ুন: বাস প্রায় নেই, রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা ; বিজেপির ডাকা বনধে প্রভাব রায়গঞ্জে
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উতপ্ত রাজ্যরাজনীতি ৷ তারই মধ্যেই কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে এক বিজেপি কর্মীর ৷ মৃত বিজেপি কর্মীর নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন ৷ এই দুটি ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ডঃ ইন্দ্রনীল খানের নেতৃত্বে রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। যুব মোর্চার সভাপতি ডঃ ইন্দ্রনীল খান বলেন, "নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পুলিশকে উস্কিয়েছেন, তার ফলস্বরূপ পুলিশের অতিসক্রিয়তা দেখলাম ৷ কালিয়াগঞ্জ ঘটনা ও বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার বিচার চাই ৷ খুনীদের অবশ্যই জেলে পাঠাব ৷ যত বড় পুলিশই হোক, বা নেতা-মন্ত্রী আটকানোর চেষ্টা করুন, আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাইব ৷"