কলকাতা, 13 জানুয়ারি: বঙ্গ বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে (BJP Inner Clash)। সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে এবার উদ্যোগী হল বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। দলের বিদ্রোহী নেতারা দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য কমিটি বদলের দাবিতে এবার দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) বি.এল সন্তোষ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করবে বিজেপির বিক্ষুব্ধ প্রতিনিধি দল। তবে, বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত সুকান্ত মজুমদারও।
দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, দলের বিক্ষুব্ধ নেতারা গোপনে বৈঠক করছেন। কিন্ত, তাঁকে কেউ কিছু জানাচ্ছে না। তিনি তার ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃত্বর কি কি সমস্যা আছে তা তাকে লিখিতভাবে জানালে তিনি নিজেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, " প্রয়োজনে বিক্ষুব্ধ নেতারা আমার সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।" বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়েছে। সেই রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্ত বসু, সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীরণ সাহা, রিতেশ তেওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজকমল পাঠক-সহ একাধিক নেতৃত্ব। এরপরই এই সমস্ত নেতৃত্ব দলের বিরুদ্ধে একাধিক গোপন বৈঠক করেন। শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্ব তাঁর বাসভবনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও জয়প্রকাশ মজুমদার। এই বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব শনিবার কলকাতায় পোর্টট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৈঠকের ডাক দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পথ চলা শুরু বিজেপির বিবেক বাহিনীর
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও উপস্থিত থাকবেন। বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের যা সমস্যা সেটা আমরা লিখিতভাবেই দিল্লিতে জানাব। আমরা অনেকবারই রাজ্য নেতৃত্বকে বলেছি। দলের প্রথমদিন থেকে যারা লড়াই করেছে সেই লড়াই বিজেপিকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আজ তাদের দলে প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের মতই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি ৷"