কলকাতা, 31 জুলাই: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি আজ বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । তবে কিছু আগেই বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাপস রায় স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন যে মহামান্য আদালতকে শিরোধার্য রেখেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তা সেই মতোই হবে । অর্থাৎ, এক কথায় বলাই যায় যে তৃণমূল কংগ্রেস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে অনড় রইল ।
এই বিষয়ে বিরোধী নেতাদের মধ্যে প্রথম রাজর্ষি লাহিড়ী এফআইআর করেন । তিনি 22 জুলাই রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন । এই বিষয়ে রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস আদালতকে গ্রাহ্য করে না । তৃণমূল দল বা রাজ্য প্রশাসন কোনওটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই । অদৃশ্য কেউ চালাচ্ছেন । তৃণমূল সংখ্যালঘু তোষণকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার চালাচ্ছে । হাইকোর্টের নির্দেশে পরেও যদি ঘেরাও হয় তাহলে স্পষ্টতই আদালত অবমাননা হবে । তারপর এটা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াবে । সেটাই বিচার হবে । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের কর্মী সমর্থকদের লেলিয়ে দিয়ে একটা দাঙ্গা পরিস্থিতি যাতে তৈরি করা যায় তাই সেই দিনটা বেছে নিয়ে চলে গিয়েছেন ।"
পাশাপাশি বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা জানিয়েছেন যে, কলকাতা হাইকোর্টের রায় না-মেনে তৃণমূল কংগ্রেস যদি 5 অগস্ট তাঁদের কর্মসূচি বহাল রাখে তাহলে তা হবে চূড়ান্ত আদালত অবমাননার উদাহরণ । এরকম ধৃষ্টতা কেউ যদি দেখায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।
আরও পড়ুন : হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের, বাতিল ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি
অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জানান যে, এই ধরনের কর্মসূচি একটা অগণতান্ত্রিক এবং স্বৈরাচারী পদক্ষেপ । গণতান্ত্রিক আবহকে নষ্ট করে একটা সন্ত্রাস এবং আতঙ্কের আবহ তৈরি করার পদক্ষেপ । অতীতে কেউ কখনও এই ধরনের অগণতান্ত্রিক অরাজনৈতিক প্রথা বহির্ভূত এবং অনভিজ্ঞ সিদ্ধান্ত নেয়নি । কিন্তু প্রতীকী অবস্থানের কথা আজ তৃণমূল ঘোষণা করেছে । কারণ আদালতকেও তৃণমূল মানে না ।
এই বিষয় নিয়ে বিজেপির তরফে অমিত মালব্য একটি টুইট করেন । তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তীব্র নিন্দা করেন ।