কলকাতা, 14 নভেম্বর: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক (Dengue in Bengal)। আজ তারই প্রতিবাদে পথে নামল বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা (BJP Rally)। নিউ আলিপুর থেকে শুরু হয় মিছিল । শেষ হয় চেতলায় ৷ গোটা রাজ্যে যে ভাবে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশাসন উদাসীন ৷ এই অভিযোগ তুলে মিছিল করে বিজেপি যুব মোর্চা । মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ ।
ডেঙ্গি দমনে ব্যর্থ কলকাতা পৌরনিগম এবং ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য চাপছে রাজ্য সরকার । আজ এই দুটি অভিযোগ নিয়ে আবারও পথে নামল বিজেপি যুব মোর্চা । বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, "বাংলার সমস্ত অংশে যে ভাবে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশাসন উদাসীন । যেভাবে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, রাজ্য সরকার কী করেছে ? কেন তথ্য চাপছে রাজ্য সরকার ? স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এর জবাব দিতে হবে । রাজ্য সরকার কিছুই করছে না । কিছুই করবে না ৷ তাই সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে । না হলে আর উপায় নেই । স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে কোথায় কতজন মারা গিয়েছেন বা রাজ্যে এই মুহূর্তে ডেঙ্গি পরিস্থিতি কী, কোন এলাকায় সব থেকে বেশি ডেঙ্গি হচ্ছে এবং সেই জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে কি না, সেই সব সম্বন্ধে কোনও রকম তথ্য নেই ।" তিনি আরও বলেন, "ডেঙ্গি মোকাবেলায় সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলির কোনও পরিকাঠামোই নেই । সোমবার থেকে শুক্রবার তবুও প্লেটেলেট পাওয়া যায় ৷ কিন্তু শনি ও রবিবার ডেঙ্গি নিয়ে কেউ ভর্তি হলে তাঁর মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই ।"
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল প্রসঙ্গে ফের বেলাগাম ফিরহাদ
আজ ওই একই একালায় তিনটি মিছিল হওয়ার কথা ছিল বলে প্রথমে বিজেপি যুব মোর্চার মিছিল বাতিল করে কলকাতা পুলিশ । এরপর আদালতের হস্তক্ষেপে রুট পরিবর্তন করে মিছিল করার অনুমতি মেলে । নিউ আলিপুর পেট্রোল পাম্প থেকে মিছিল শুরু করে চেতলা পার্কের সামনে দিয়ে চেতলা মোড় পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল মিছিল । কিন্তু মিছিলটি নিউ আলিপুর ব্রিজ থেকে নেমেই ডান দিক নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে পৌঁছনোর চেষ্টা করে । তবে চেতলা অগ্রণীর সামনে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ । এরপর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় ৷ ব্যারিকেড ভাঙায় যুব মোর্চার একাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় । বিক্ষোভকারীরা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন । এরপর রেল গার্ড এবং ব্যারিকেড নিয়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করা হলে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন । মশার কাট-আউট, মশারি, মৃতদেহের খাট - যে সব প্রতীক নিয়ে মিছিল করা হচ্ছিল, চেতলা অগ্রণীর সামনে সেগুলি পোড়াতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা ৷