ETV Bharat / state

শুভেন্দুকে গেরুয়া শিবিরে আমন্ত্রণ সৌমিত্র খাঁর - শুভেন্দুকে গেরুয়া শিবিরে আমন্ত্রণ সৌমিত্র খানের

তৃণমূলে অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের । দলীয় পতাকা ছাড়াই তিনি বিভিন্ন জায়গায় সভা করছেন । রাজ্যে মন্ত্রিসভার শেষ কয়েকটি বৈঠকেও দেখা মেলেনি তাঁর ।

Suvendu Adhikari
শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমিত্র খান
author img

By

Published : Nov 1, 2020, 6:06 PM IST

কলকাতা, 1 নভেম্বর : দলীয় নেতাদের সঙ্গে যে বর্তমানে তাঁর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই তা গতকাল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর এই 'বিদ্রোহে' স্বাভাবিকভাবে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল । এবার সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন BJP-র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ । শুভেন্দু অধিকারীকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন ।

BJP সাংসদ আজ বলেন, "তৃণমূলে সৎ ও পরিশ্রমী মানুষের জন্য কোনও জায়গা নেই ।" একমাত্র গেরুয়া শিবিরই তাঁকে (শুভেন্দু অধিকারী) স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেবে বলে মন্তব্য করেন । যদিও সৌমিত্র খাঁর এই মন্তব্যের পর BJP-র তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসকদল । তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির । শুভেন্দু অধিকারীকে দলের "সম্পদ" বলেও দাবি করে রাজ্যের শাসকদল ।

প্রসঙ্গত গতকাল শুভেন্দু অধিকারী দলের কারও নাম না করে বলেছিলেন, "আমি প্যারাসুটেও নামিনি এবং লিফটেও উঠিনি । সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি ।" মন্ত্রী এও বলেছিলেন, তাঁর হাত ধরে যাঁরা দলে এসেছেন, তাঁরাই আজ বিরুদ্ধে কথা বলছেন । শুভেন্দুবাবুর এই মন্তব্যের পর পালটা মুখ খুলেছিলেন শাসকদলের অন্যতম প্রধান সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ হাকিম । বলেছিলেন, "আমরা কেউই প্যারাসুট থেকে নামিনি । আর লিফটে করেও উপরে উঠিনি । আমিও রাজনীতিতে লিফটে করে উপরে উঠিনি ।" তবে তিনিও তাঁর প্রতিক্রিয়ায় সরাসরি কারও নাম নেননি ।

এরপর তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে আজ সৌমিত্র খাঁ বলেন, "কর্মঠ ও সৎ মানুষদের জন্য তৃণমূলে কোনও জায়গা নেই । কোনও একজন নির্দিষ্ট সাংসদের জন্য শুভেন্দু অধিকারীর মতো জননেতাকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে । তাঁর উচিত তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেওয়া । BJP-র মতো একটি গণতান্ত্রিক দলে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন । "

আরও পড়ুন : প্যারাসুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি; সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি : শুভেন্দু

অতীতে BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখেও একাধিক বার শুভেন্দু অধিকারীর জনসংযোগের কথা শোনা গেছিল ।

এদিকে সৌমিত্র খাঁর এই ধরনের মন্তব্যের পর সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় । BJP দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি । বলেন, " শুভেন্দু দলের সম্পদ । BJP জানে তারা নিজে থেকে কিছু করতে পারবে না । তাই দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে । ওরা শুধু এই একটাই কাজ পারে ।"

তবে তৃণমূলে অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের । দলীয় পতাকা ছাড়াই তিনি বিভিন্ন জায়গায় সভা করছেন । রাজ্যে মন্ত্রিসভার শেষ কয়েকটি বৈঠকেও দেখা মেলেনি তাঁর । এদিকে বিগত দুই মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু জায়গায় "দাদার অনুগামী" লেখা বেশ কিছু ব্যানার দেখা গেছে । কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে নিজের আলাদা একটি দলও তৈরি করতে পারেন শুভেন্দু ।

আরও পড়ুন : কেউ প্যারাসুটে নামেনি, লিফটেও উপরে ওঠেনি ; শুভেন্দুকে জবাব ফিরহাদের

পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট । রাজনৈতিক মহলের মতে, 35 টি বিধানসভা আসন রয়েছে তাঁর দখলে । এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এমনকী অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমেও শুভেন্দু অধিকারীর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে । শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছেন, "10 নভেম্বর নন্দীগ্রামে দাদার (শুভেন্দু অধিকারী) একটি সভা রয়েছে । আমরা তাঁর বার্তার জন্য অপেক্ষা করছি । 2011 সালে দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । কিন্তু দল তাঁকে সেই মর্যাদা দেয়নি ।"

তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা সংবাদসংস্থা PTI-কে জানিয়েছেন, ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার কাজ চলছে । শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । তিনি জানিয়েছেন, "আমরা আমাদের দিক থেকে সবরকমভাবে চেষ্টা করব, যাতে তিনি দল ছেড়ে না যান । বাকিটা তাঁর উপর ।"

কলকাতা, 1 নভেম্বর : দলীয় নেতাদের সঙ্গে যে বর্তমানে তাঁর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই তা গতকাল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর এই 'বিদ্রোহে' স্বাভাবিকভাবে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল । এবার সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন BJP-র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ । শুভেন্দু অধিকারীকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন ।

BJP সাংসদ আজ বলেন, "তৃণমূলে সৎ ও পরিশ্রমী মানুষের জন্য কোনও জায়গা নেই ।" একমাত্র গেরুয়া শিবিরই তাঁকে (শুভেন্দু অধিকারী) স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেবে বলে মন্তব্য করেন । যদিও সৌমিত্র খাঁর এই মন্তব্যের পর BJP-র তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসকদল । তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির । শুভেন্দু অধিকারীকে দলের "সম্পদ" বলেও দাবি করে রাজ্যের শাসকদল ।

প্রসঙ্গত গতকাল শুভেন্দু অধিকারী দলের কারও নাম না করে বলেছিলেন, "আমি প্যারাসুটেও নামিনি এবং লিফটেও উঠিনি । সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি ।" মন্ত্রী এও বলেছিলেন, তাঁর হাত ধরে যাঁরা দলে এসেছেন, তাঁরাই আজ বিরুদ্ধে কথা বলছেন । শুভেন্দুবাবুর এই মন্তব্যের পর পালটা মুখ খুলেছিলেন শাসকদলের অন্যতম প্রধান সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ হাকিম । বলেছিলেন, "আমরা কেউই প্যারাসুট থেকে নামিনি । আর লিফটে করেও উপরে উঠিনি । আমিও রাজনীতিতে লিফটে করে উপরে উঠিনি ।" তবে তিনিও তাঁর প্রতিক্রিয়ায় সরাসরি কারও নাম নেননি ।

এরপর তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে আজ সৌমিত্র খাঁ বলেন, "কর্মঠ ও সৎ মানুষদের জন্য তৃণমূলে কোনও জায়গা নেই । কোনও একজন নির্দিষ্ট সাংসদের জন্য শুভেন্দু অধিকারীর মতো জননেতাকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে । তাঁর উচিত তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেওয়া । BJP-র মতো একটি গণতান্ত্রিক দলে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন । "

আরও পড়ুন : প্যারাসুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি; সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি : শুভেন্দু

অতীতে BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখেও একাধিক বার শুভেন্দু অধিকারীর জনসংযোগের কথা শোনা গেছিল ।

এদিকে সৌমিত্র খাঁর এই ধরনের মন্তব্যের পর সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় । BJP দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি । বলেন, " শুভেন্দু দলের সম্পদ । BJP জানে তারা নিজে থেকে কিছু করতে পারবে না । তাই দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে । ওরা শুধু এই একটাই কাজ পারে ।"

তবে তৃণমূলে অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের । দলীয় পতাকা ছাড়াই তিনি বিভিন্ন জায়গায় সভা করছেন । রাজ্যে মন্ত্রিসভার শেষ কয়েকটি বৈঠকেও দেখা মেলেনি তাঁর । এদিকে বিগত দুই মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু জায়গায় "দাদার অনুগামী" লেখা বেশ কিছু ব্যানার দেখা গেছে । কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে নিজের আলাদা একটি দলও তৈরি করতে পারেন শুভেন্দু ।

আরও পড়ুন : কেউ প্যারাসুটে নামেনি, লিফটেও উপরে ওঠেনি ; শুভেন্দুকে জবাব ফিরহাদের

পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট । রাজনৈতিক মহলের মতে, 35 টি বিধানসভা আসন রয়েছে তাঁর দখলে । এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এমনকী অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমেও শুভেন্দু অধিকারীর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে । শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছেন, "10 নভেম্বর নন্দীগ্রামে দাদার (শুভেন্দু অধিকারী) একটি সভা রয়েছে । আমরা তাঁর বার্তার জন্য অপেক্ষা করছি । 2011 সালে দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । কিন্তু দল তাঁকে সেই মর্যাদা দেয়নি ।"

তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা সংবাদসংস্থা PTI-কে জানিয়েছেন, ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার কাজ চলছে । শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । তিনি জানিয়েছেন, "আমরা আমাদের দিক থেকে সবরকমভাবে চেষ্টা করব, যাতে তিনি দল ছেড়ে না যান । বাকিটা তাঁর উপর ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.