সল্টলেক, 4 অগস্ট: চিট ফান্ড সংস্থা রোজভ্যালি থেকে লাভবান হয়েছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ! এমনই অভিযোগে এবার সল্টলেকে ইডি দফতরে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে একটি আবেদন করল তৃণমূল ৷ বিধাননগর পৌরনিগমের 40 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায় এই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন সব চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ৷ তখন বিজেপির সাংসদের বিরুদ্ধেও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক ৷ আর লকেটের দাবি, নুসরত জাহানের প্রতারণা মামলা থেকে নজর ঘোরাতে তাঁকে পাকড়াও করেছে তৃণমূল ৷
আজ দুপুরে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের একটি দল ৷ বিধাননগর পৌরনিগমের 40 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায় আইনজীবী এবং স্থানীয় সমাজ কর্মীদের নিয়ে সেখানে যান ৷ একটি আবেদনপত্র তাঁরা ইডি-কে দেয় ৷ তুলসী সিনহা রায়ের দাবি, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালি থেকে লাভবান হয়েছেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধেও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ৷ আমরা সেই আবেদন করেছি ৷ আমাদের কাছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সব তথ্য রয়েছে ৷ তবে, আমরা চাই ইডি এ নিয়ে তদন্ত করুক ৷ আর আমাদের সাহায্য লাগলে অবশ্যই করব ৷’’
যদিও, পুরো বিষয়টিকেই সস্তার রাজনীতি বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হুগলির সাংসদ ৷ তিনি বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন ৷ সেখান থেকেই সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ায় লকেটের কটাক্ষ, ‘‘বাংলায় এখন শাসকদলের যেদিকেই তাকানো যায়, সবাই প্রায় চোর ৷ আর পশ্চিমবঙ্গে চিটফান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান যিনি হয়েছেন তিনি হলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর তৃণমূল পরিবার ৷ আর এখন তাঁর সাংসদের বিরুদ্ধে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ৷ সেখান থেকে নজর ঘোরাতে কাউকেতো টার্গেট করতে হবে ৷ তাই আমাকে করেছে ৷’’
আরও পড়ুন: কোনও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নই, ফ্ল্যাট দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাফাই নুসরতের
লকেট চ্যালেঞ্জ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে তা তদন্তকারীদের কাছে পেশ করা হোক ৷ যদি, ইডি তাঁকে তদন্তের জন্য ডাকে, তাহলে তিনি অবশ্যই যাবেন ৷ উল্লেখ্য, গত 31 জুলাই বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে একটি নির্মাণকারী সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে প্রায় 2 কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন ৷ যা নিয়ে গত পরশু নুসরত সাংবাদিক বৈঠক করে সব অভিযোগ খারিজ করেছেন ৷ পাশাপাশি, তিনি 2018 সালের পর থেকে ওই সংস্থার কোনও পদে নেই বলে দাবি করেছেন ৷ সেই সংস্থা বা তার মালিক কোথা থেকে টাকা তুলেছেন, তার দায় সাংসদ তথা অভিনেত্রীর নয় ৷ যার পালটা আরও একাধিক অভিযোগ শঙ্কুদেব করেছেন ৷