কলকাতা, 12 জুন: দিদিকে বলো এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচিতে একই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে ৷ এই অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল বিজেপি ৷ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল সোমবার এই অভিযোগ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে যায় ।
বিজেপির পক্ষ থেকে শিশির বাজোরিয়া বলেন যে, এটি সরাসরি নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির পরিপন্থী । যদিও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল যে, যেহেতু এটি একটি সরকারি কর্মসূচি এবং এখানে কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিষয় নেই ভোটারদের, তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে তাঁদের প্রভাবিত করারও কোনও ব্যাপার নেই । তাই এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য সরকারের তরফে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি চালু করা হয় ৷ সরকারি তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানানো হয় ৷ এই কর্মসূচিতে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে ৷ ওই নম্বরে ছুটির দিন ছাড়া অন্য যে কোনও দিন সকাল 9টা থেকে সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত ফোন করে অভিযোগ বা নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারবেন রাজ্যের মানুষ ৷ সেই ফোন নম্বরটি হল - 9137091370 ৷ এই কর্মসূচি চালু হওয়ার পরই এই নম্বর নিয়ে আপত্তি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
আরও পড়ুন: ’দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ’সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে ব্যবহার, প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
শুক্রবার টুইট করে শুভেন্দু লেখেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসের দিদিকে বলো ও রাজ্য সরকারের সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী, দুটি কর্মসূচিতেই একই ফোন নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এই নিয়েই তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর দিকে ৷ শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করে দেওয়ায় বাংলায় আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়েছে ৷ সেই কারণে রাজ্য সরকার কৌশলে এই কর্মসূচি ভোট ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই চালু করল ৷ ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের সঙ্গেই এই কর্মসূচির বিজ্ঞাপনও তৃণমূলের ফোন নম্বর-সহ সরকারি তরফে চলতে থাকবে ৷ ফলে পুরো খরচ তৃণমূলের বদলে বহন করবে সরকার ৷
এ দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও হাইকোর্টের রায়দান স্থগিত নিয়ে এ দিন প্রশ্ন করা হলে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা ৷