কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি : ভবানীপুরের স্বর্ণব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্য খুনে আটক এক ট্যাক্সি চালক । বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ট্যাক্সিটিও । পুলিশ জানতে পেরেছে, শান্তিলালের আত্মীয়দের কাছ থেকে 25 লক্ষ টাকা নিয়ে পালানো ব্যক্তি ওই ট্যাক্সিতে চড়েই এসেছিল ৷ এরপর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে, ট্যাক্সির লোকেশন ট্র্যাক করে মঙ্গলবার ভোররাতে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান এলাকা থেকে চালককে আটক করে পুলিশ ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ (Police detain Taxi Driver)।
ট্যাক্সি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিল আততায়ী । তার নির্দেশেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সাউথ গেটের কাছে তিনি ট্যাক্সি নিয়ে আসেন । এরপর শান্তিলাল বৈদ্যের আত্মীয়ের কাছ থেকে 25 লক্ষ টাকা নেয় (Bhowanipur Murder Case) । এরপর ওই ট্যাক্সিতেই হাওড়া স্টেশনে ফিরে আসে ওই ব্যক্তি ৷ এরপর সে কোথায় গিয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওই ট্যক্সি চালক ।
ইতিমধ্যেই রাত 1টা থেকে হাওড়া স্টেশন থেকে কোন কোন দূরপাল্লার ট্রেন কোথায় যায় তার একটি তালিকা বানানো হয়েছে । তদন্তের স্বার্থে রেল পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ । যেহেতু আততায়ী দিল্লির বাসিন্দা, তাই গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে দূরপাল্লার ট্রেন ধরে রাতেই সে কলকাতা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছে । যদি ওই ট্যাক্সিচালকের বয়ান পরীক্ষা করা হচ্ছে (Bhowanipur Gold Merchant Murder in Bhowanipur Guest House) । ট্যাক্সিচালককে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর ।
জানা গিয়েছে, অপহরণের মুক্তিপণ বাবদ 25 হাজার টাকা আততায়ীরা নিলেও ফেরত আসেনি শান্তিলাল বৈদ্য (Bhowanipur Gold Merchant Murder in Bhowanipur Guest House) । এরপরে ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন দেখে শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডের একটি গেস্টহাউজের ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ বিবস্ত্র অবস্থায় ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । গলায় ফোনের তার জড়ানো ছিল ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কালশিটের চিহ্নের উল্লেখ করা হয়েছে । শান্তিলাল বৈদ্য 20 নম্বর লি রোডের বাসিন্দা ৷