কলকাতা, 11 জানুয়ারি: আগামী 14 জানুয়ারি 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' শুরু হচ্ছে। মণিপুর থেকে মুম্বই পর্যন্ত হবে এই যাত্রা। এর মধ্যে এ রাজ্যে 525 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন রাহুল গান্ধি । রাজ্যে থাকবেন 5 দিন। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার হয়ে শিলিগুড়ি হয়ে বিহার যাবেন। তারপর ফের মুর্শিদাবাদ দিয়ে প্রবেশ করবেন বাংলায়। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের মুখপাত্র অংশুমান সাহিল এবং অতুল লিন্ধে এ কথা জানান।
অতুল লিন্ধে বলেন, "পিছলে দশ সাল-অন্যায় কাল। এই স্লোগান দিয়েই 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' শুরু হয়েছে। এই যাত্রা মোট 6 হাজার 713 কিলোমিটার রাস্তা ঘুরবে। তাতে দেশের 110টি জেলা থেকে শুরু করে 300টিরও বেশি বিধানসভা স্পর্শ করবে। কংগ্রেস শিল্পপতিদের টাকায় চলে না, চলে মানুষের সাহায্যে। ডোনেট ফর দেশ- এই ওয়েবসাইটে গেলে কীভাবে অর্থ সাহায্য করা হবে তার বিস্তারিত জানা যাবে ৷ এর আগে ভারত জোড়ো যাত্রা 11 হাজার কিলোমিটার গিয়েছিল। সেটার গুরুত্ব গান্ধির ডান্ডি মার্চের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না।"
কংগ্রেস নেতা অংশুমান সাহিলের অভিযোগ, কুস্তিগীর থেকে কৃষক- মোদির শাসনকালে সবাই ত্রস্ত। 70 বছর ধরে কংগ্রেস তিলতিল করে দেশ গড়েছে। মোদি আসার পর দেশের সমস্ত সম্পত্তি মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষকে 5 কিলো করে চাল গম দিতে পারে না এই সরকার। মনরেগা চালু করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু গণবণ্টনের ক্ষেত্রে 80 কোটি মানুষ আজ অব্যবস্থার শিকার। দেশে বেকারত্ব বেনজির অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। আদিবাসীরা অত্যাচারের শিকার। মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। মণিপুরের অবস্থা ভয়াবহ। রাজ্যপালদের আচরণ আলাদা করে উল্লেখ করার দাবি রাখে। ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যে বিরোধিদের সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষা হচ্ছে। বিজেপিতে যোগ দিলেই অতীতের সব পাপ মাফ হয়ে যাচ্ছে। বিজেপির এই ওয়াশিং মেশিনের কামাল বোঝা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে দেখলেই!"
তিনি আরও বলেন, "2014 সালে রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে নকল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে রাহুলের ঠাকুমা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছেন। জঙ্গিদের বোমার আঘাতে প্রাণ গিয়েছে বাবারও। তবু রাহুল ভয় পাননি। তাই শুধু ভারতকে জুড়লে হবে না, এখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই এবারের যাত্রার নাম 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। যাত্রার মূল কথা, ন্যায় নেই জব তক, যাত্রা তব তক । রাহুলের পরিবারের উপর একের পর এক আক্রমণ সত্ত্বেও উনি এসপিজি (স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ) কমান্ডো ছাড়া মানুষকে সঙ্গে নিয়েই হাঁটবেন। কারণ মানুষকে ন্যায় দিয়ে এবং সবাইকে নিজের সঙ্গে সামিল করার নামই এই যাত্রা।"
আরও পড়ুন: