কলকাতা, 1 মে : ভোটগ্রহণ শেষ ৷ এবার ফলাফলের পালা ৷ আগামীকাল অর্থাৎ 2 মে রাজ্যে ভোট গণনা হতে চলেছে ৷ নির্ধারিত হবে কে নেবে নীল বাড়ির দখল । যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তার মধ্যে নির্বিঘ্নে গণনা পরিচালনাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশনের সামনে । এবার রাজ্যে গণনা কেন্দ্রের মোট সংখ্যা 108 । তাই করোনা পরিস্থিতিতে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গণনা সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তাই ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন ।
গণনার সময় যাতে কোনও রকম অশান্তি না হয় তাই, রাজ্যে থাকছে 242 কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী । এক প্ল্যাটুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে প্রত্যেকটি স্ট্রং রুমের সামনে । 24 ঘণ্টা চলবে স্ট্রং রুমের নজরদারি । বাইরে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা । গণনা কেন্দ্রের একেবারে বাইরে থাকছে রাজ্য পুলিশের স্বতন্ত্র বাহিনী । তারপর থাকছে দ্বিতীয় ভাগে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সর্বশেষ তৃতীয় স্তরেও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । যদিও দ্বিতীয় স্তরে রাজ্য পুলিশ সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ।
স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম নিয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী । আর এই গণনা কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করতে গেলে কাউন্টিং এজেন্টরা কেবলমাত্র ফর্ম, পেন ও সাদা কাগজ সঙ্গে আনতে পারবেন ৷ এছাড়া আর কোনও জিনিস নিয়ে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না । পোলিং এজেন্ট ও প্রার্থীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে তবেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে । বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমও । যে সমস্ত সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা ভোট গণনা কেন্দ্রে যাবেন তাঁদেরও সেই একই পরীক্ষা করাতে হবে । তবেই তাঁরা গণনা কেন্দ্রে বা সেখানকার মিডিয়া সেলে প্রবেশ করতে পারবেন । কঠোরভাবে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব ।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হলেন বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক
সকাল 8টা থেকে গণনার কাজ শুরু হবে । প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনার কাজ শুরু হবে । তারপর সাধারণ ব্যালট পেপারের গণনা হবে । জানা গিয়েছে সকাল সাড়ে 8টার মধ্যেই ইভিএম গণনার কাজ শুরু হবে । কোন টেবিলে কোন পোলিং স্টেশনের গণনা হবে তার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আগে থেকেই ফর্ম দেওয়া হবে । তার ভিত্তিতেই প্রতিটি কাউন্টিং হলের ভিতর কাউন্টিং এজেন্টরা ঢুকতে পারবে বা বেরোতে পারবে । তবে একটা হলের ভিতর সবকটি ইভিএম গণনা হয়ে যাওয়ার পরেই হলে নতুন ইভিএম আসবে । মনে করা হচ্ছে যেহেতু গণনা হলগুলি বারে বারে স্যানিটাইজ করা হবে তাই স্বাভাবিক সময়ের একটু বেশি সময় লাগবে গণনা শেষ হতে । সাধারণত সকাল সাড়ে 10টার মধ্যেই একটা ট্রেন্ড বোঝা যায় । তবে এবার বেশ কিছুটা সময় বেশি লেগে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।