কলকাতা, 10 এপ্রিল : চতুর্থ দফায় কলকাতার যে কেন্দ্রগুলিতে ভোট ছিল তার মধ্যে অবশ্যই বাড়তি নজর ছিল টালিগঞ্জের দিকে ৷ একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস ৷ আর অন্যদিকে বিজেপির বাবুল সুপ্রিয় ৷ টালিগঞ্জ মানেই অরূপ বিশ্বাসের এলাকা ৷ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে ৷ অভিযোগ থাকলেও অরূপের জনসংযোগের সুখ্যাতি যথেষ্ট রয়েছে ৷ প্রয়োজন-অপ্রয়োজনেও পাশেও পাওয়া যায় বিধায়ককে ৷
আর তাঁর উল্টোদিকে যিনি লড়ছেন, তিনিও যথেষ্ট হেভিওয়েট ৷ শিল্পীমহলে নামডাক তো রয়েছেই, তবে সে-সব ছাপিয়ে গিয়ে বাবুল এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিক ৷ একেবারে কেন্দ্রের মন্ত্রী ৷ বিজেপি নীলবাড়ি দখলের যে লড়াইয়ে এবার নেমেছে, তাতে আসরে নামতে হয়েছে বাবুলকেও ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, বাবুলকে দিল্লির রাজনীতি থেকে তুলে রাজ্যে নিয়ে আসাটা একদিক থেকে তাঁর সংসদীয় রাজনীতির পরিসরটাকে অনেকটা ছোট করে আনতে পারে ৷ প্রকাশ্যে অবশ্য বাবুল এই বিষয়ে কোনওদিনই কিছু মুখ খোলেননি ৷ টালিগঞ্জে প্রচার করেছেন ৷ রোড শো করেছেন ৷ ভোট চেয়েছেন ৷
কিন্তু ভোটের দিন সকাল থেকে টালিগঞ্জের ছবিটা রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় অনেকটাই আলাদা ৷ অল্প কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর ভোট বেশ শান্তিপূর্ণই ছিল টালিগঞ্জে ৷ কোথাও সেভাবে কোনও অশান্তির খবর নেই ৷ কোথাও কোনও অভিযোগ নেই ৷ সকালের দিকে শুধু এক ভুয়ো ভোটারকে আটকেছিলেন বাবুল ৷ তারপর থেকে আর সেভাবে কোনও অশান্তির খবর আসেনি টালিগঞ্জ থেকে ৷ হয়তো অভিযোগ করার মতো কোনও ইস্যু খুঁজে পাননি বাবুলরা ৷
আরও পড়ুন : বারুদের স্তুপের উপরই বসে ছিল কোচবিহার
আর এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে ৷ তবে কি ফলঘোষণার আগেই টালিগঞ্জে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল গেরুয়া বাহিনী ? তৃণমূল শিবির কিন্তু জয়ের ব্যাপারে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী ৷
টালিগঞ্জ এলাকায় আজ সকালে এক ভুয়ো ভোটারকে আটকেছিলেন বাবুল ৷ ভোট তদারকিতেও কোনও খামতি রাখেননি ৷ টালিগঞ্জে এবার গেরুয়া আবির উড়বেই ৷ দাবি করছে গেরুয়া শিবির ৷ তবে সকালে ওই ভুয়ো ভোটারকে আটকানো ছাড়া সেভাবে কিছু আর বলতে শোনা গেল না জয়প্রকাশ মজুমদারের গলাতেও ৷ বলছেন, তৃণমূলের ভুয়ো ভোটারকে আটকে দিয়েছেন বাবুল ৷ তাই এই কেন্দ্রে বাবুলের জয় নিশ্চিত ৷