Iকলকাতা,20 জুলাই: বিধানসভা অধিবেশন ঘিরে নতুন করে সংঘাতে গেল রাজভবন ও নবান্ন। যার ফলে, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বিধানসভার বদলে নবান্নে করার সিদ্ধান্ত । সূত্রের খবর, রাজভবনের কাছে বিধানসভায় অধিবেশন করার আবেদন-চিঠি যায় রাজ্যের পরিষদীয় দফতরের তরফে । কিন্তু চিঠি পাঠানোয় বিলম্ব হওয়ার কারণে চিঠি ফেরত পাঠান রাজ্যপাল। এদিকে বিধানভা অধিবেশন চলাকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল । রাজভবনের চিঠি ফেরত দেওয়ার ঘটনায় সেই সিদ্ধান্তের বদল ঘটে । নবান্ন সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠক বিধানসভার পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হবে নবান্নে ৷
আগামী সোমবার অর্থাৎ 24 তারিখ থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু করতে চেয়ে রাজ ভবনে চিঠি পাঠিয়েছিল পরিষদীয় দফতর ৷ ঠিক হয়েছিল ওই দিন রাজ্য বিধানসভাতেই হবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। তবে বাধ সাধল সেই রাজভবন। রাজ্যের আবেদন-চিঠি ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে রাজভবনের প্রশ্ন, এত স্বল্প সময়ে নোটিশে কেন বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হচ্ছে ? এই নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানান, আবেদন চিঠি নিয়ে আসতে হবে পরিষদীয় মন্ত্রী অথবা মুখ্যসচিবকে। কিন্তু গতরাত পর্যন্ত উপস্থিত হননি পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কিংবা মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
তারপরই মন্ত্রিসভার বৈঠকের স্থান বিধানসভার পরিবর্তে নবান্নে স্থির করা হয়। এরপরই 24 তারিখের বিধানসভার অধিবেশন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও এই নিয়ে নবান্ন কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। একইভাবে চুপ রাজভবনও। ফলে ঠিক কবে বিধানসভায় বাদল অধিবেশন শুরু হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর রক্ষাকবচে চিড় ! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর করে ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তাকে ভালোভাবে নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা বিভিন্ন সময়ে মমতার বিভিন্ন বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। সবমিলিয়ে রাজভবন বনাম নবান্ন ঘিরে এবার নতুন সংঘাত। এর আগে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত একাধিকবার সামনে এসেছে। মমতা বনাম ধনকড়ের দ্বন্দ পরিচিত ছবি ছিল বাংলার রাজনীতিতে। এবার কি একই পথেই যাচ্ছে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে ।