ETV Bharat / state

বেহালায় বৃদ্ধা খুনে গ্রেপ্তার আরও 1 - accused Rajak ali sardar arrested

বেহালায় বৃদ্ধা খুনে পুলিশের জালে আরও একজন ৷ ধৃত রজক আলি সর্দারকে জেরা করে এমন তথ্যই পেল পুলিশ । এখন খোঁজ চলছে সুলতান নামে আর একজনের ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 1, 2019, 9:16 AM IST

কলকাতা, 1 অগাস্ট : রীতিমতো প্ল্যান করেই বেহালায় বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছিল । কাঠ এবং রঙের মিস্ত্রিরা মদের আসরে করেছিল খুনের ছক । গতকাল সন্ধ্যায় ঠাকুরপুকুর বাজার এলাকা থেকে ধৃত রজক আলি সর্দারকে জেরা করে এমন তথ্যই পেল পুলিশ । এখন খোঁজ চলছে সুলতান নামে আর একজনের ৷

বছর পঁচাত্তরের ওই বৃদ্ধার নাম শুভ্রাঘোষ দস্তিদার । ছেলে-বউমা ও নাতনির সঙ্গে বেহালার 126 B শিশিরবাগানে থাকতেন । 25 জুলাই বাড়ির মেঝেতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধার মৃতদেহ ৷ বাড়ির কাজের জন্য একজন পরিচারিকা ছিল ৷ ঘটনার দিন সকালে ছেলে ও বউমা কাজে বেরিয়ে যান ৷ নাতনি স্কুলে গেছিল । বাড়িতে একাই ছিলেন শুভ্রাদেবী । পরিচারিকা সকাল 11 টায় এসে দেখেন, বাড়ির সদর দরজা খোলা কিন্তু ভিতরের দরজা বন্ধ ৷ ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি । প্রথমে চলে যান । পরে আবার ঘুরে এসে বৃদ্ধাকে ডাকেন । কিন্তু সাড়া মেলেনি । সন্দেহ হয় তাঁর ৷ বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান ৷ দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায়, মেঝেতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শুভ্রাদেবী ৷ গলায় গামছা জড়ানো এবং মুখের সামনে একটা রুমাল রাখা । জিনিসপত্র অগোছালো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, খোয়া গেছে বৃদ্ধার মোবাইল। অগোছালো জিনিসপত্র দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়, টাকা ও জিনিসপত্র হাতানোর তালে খুন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দিন কয়েক আগে ওই বাড়িতে রং ও কাঠের কাজ হয়েছে । সেই সুত্রেই খোঁজ পড়ে কাঠমিস্ত্রির । তদন্ত উঠে আসে তার নাম সাহেব । প্রথমে তাকে আটক করে পুলিশ । পরে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ । আর তাতেই ভেঙে পড়ে সে । পুলিশ জানিয়েছে, খুনের কথা স্বীকার করেছে সাহেব । তার কাছেই পুলিশ খোঁজ পায় ৬২ বছরের রজকের । সে পেশায় রিকশা চালক‌ ।

সে এই খুনের ঘটনায় যুক্ত হল কীভাবে?

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, দুই রংমিস্ত্রি এবং কাঠের মিস্ত্রি সাহেব ও সুলতান কাজ করেছিল ওই বাড়িতে । তাদের বন্ধু ওই রজক । বৃদ্ধার মুখে যে রুমাল রাখা ছিল, সেই রুমাল রজকের । তবে এই পরিকল্পনা সাহেব এবং সুলতানের । আপাতত সুলতানের খোঁজ করছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা ।

কলকাতা, 1 অগাস্ট : রীতিমতো প্ল্যান করেই বেহালায় বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছিল । কাঠ এবং রঙের মিস্ত্রিরা মদের আসরে করেছিল খুনের ছক । গতকাল সন্ধ্যায় ঠাকুরপুকুর বাজার এলাকা থেকে ধৃত রজক আলি সর্দারকে জেরা করে এমন তথ্যই পেল পুলিশ । এখন খোঁজ চলছে সুলতান নামে আর একজনের ৷

বছর পঁচাত্তরের ওই বৃদ্ধার নাম শুভ্রাঘোষ দস্তিদার । ছেলে-বউমা ও নাতনির সঙ্গে বেহালার 126 B শিশিরবাগানে থাকতেন । 25 জুলাই বাড়ির মেঝেতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধার মৃতদেহ ৷ বাড়ির কাজের জন্য একজন পরিচারিকা ছিল ৷ ঘটনার দিন সকালে ছেলে ও বউমা কাজে বেরিয়ে যান ৷ নাতনি স্কুলে গেছিল । বাড়িতে একাই ছিলেন শুভ্রাদেবী । পরিচারিকা সকাল 11 টায় এসে দেখেন, বাড়ির সদর দরজা খোলা কিন্তু ভিতরের দরজা বন্ধ ৷ ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি । প্রথমে চলে যান । পরে আবার ঘুরে এসে বৃদ্ধাকে ডাকেন । কিন্তু সাড়া মেলেনি । সন্দেহ হয় তাঁর ৷ বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান ৷ দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায়, মেঝেতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শুভ্রাদেবী ৷ গলায় গামছা জড়ানো এবং মুখের সামনে একটা রুমাল রাখা । জিনিসপত্র অগোছালো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, খোয়া গেছে বৃদ্ধার মোবাইল। অগোছালো জিনিসপত্র দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়, টাকা ও জিনিসপত্র হাতানোর তালে খুন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দিন কয়েক আগে ওই বাড়িতে রং ও কাঠের কাজ হয়েছে । সেই সুত্রেই খোঁজ পড়ে কাঠমিস্ত্রির । তদন্ত উঠে আসে তার নাম সাহেব । প্রথমে তাকে আটক করে পুলিশ । পরে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ । আর তাতেই ভেঙে পড়ে সে । পুলিশ জানিয়েছে, খুনের কথা স্বীকার করেছে সাহেব । তার কাছেই পুলিশ খোঁজ পায় ৬২ বছরের রজকের । সে পেশায় রিকশা চালক‌ ।

সে এই খুনের ঘটনায় যুক্ত হল কীভাবে?

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, দুই রংমিস্ত্রি এবং কাঠের মিস্ত্রি সাহেব ও সুলতান কাজ করেছিল ওই বাড়িতে । তাদের বন্ধু ওই রজক । বৃদ্ধার মুখে যে রুমাল রাখা ছিল, সেই রুমাল রজকের । তবে এই পরিকল্পনা সাহেব এবং সুলতানের । আপাতত সুলতানের খোঁজ করছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা ।

Intro:কলকাতা, ১ অগাস্ট: গোয়েন্দাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল খুনের পুরো বিষয়টাই। রীতিমতো প্লান করেই হয়েছিল বেহালার বৃদ্ধা খুন। কাঠ এবং রঙের মিস্ত্রিরা মদের আসরে করেছিল খুনের ছক। আজ সন্ধ্যায় ঠাকুরপুকুর বাজার এলাকা থেকে ধৃত রজব আলি সর্দারকে জেরা করে এমন তথ্যই পেল পুলিশ। এখন খোঁজ চলছে সুলতান নামে এক দুষ্কৃতীর। Body:বছর পঁচাত্তরের ওই বৃদ্ধার নাম শুভ্রাঘোষ দস্তিদার। ছেলে-বউমা ও নাতনির সঙ্গে বেহালার 126 B শিশিরবাগানে থাকতেন। গত 25 জুলাই বাড়ির মেঝেতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধার মৃতদেহ ৷ বাড়ির কাজের জন্য একজন পরিচারিকা ছিল ৷ ঘটনার দিন সকালে ছেলে ও বউমা কাজে বেরিয়ে যান ৷ নাতনি স্কুলে গেছিল । বাড়িতে একাই ছিলেন শুভ্রাদেবী । পরিচারিকা সকাল 11 টায় এসে দেখেন, বাড়ির সদর দরজা খোলা কিন্তু ভিতরের দরজা বন্ধ ৷ ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি । প্রথমে চলে যান । পরে আবার ঘুরে এসে বৃদ্ধাকে ডাকেন । কিন্তু সাড়া মেলেনি । সন্দেহ হয় তাঁর ৷ বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান ৷ দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায়, মেঝেতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শুভ্রাদেবী ৷ গলায় গামছা জড়ানো এবং মুখের সামনে একটা রুমাল রাখা । জিনিসপত্র অগোছালো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, খোয়া গেছে বৃদ্ধার মোবাইল। অগোছালো জিনিসপত্র দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়, টাকা ও জিনিসপত্র হাতানোর তালে খুন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দিন কয়েক আগে ওই বাড়িতে রং ও কাঠের কাজ হয়েছে । সেই সুত্রেই খোঁজ পড়ে কাঠমিস্ত্রির। তদন্ত উঠে আসে তার নাম সাহেব। প্রথমে তাকে আটক করে পুলিশ। তারপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। আর তাতেই ভেঙে পড়ে সে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের কথা স্বীকার করেছে সাহেব। তার কাছেই কালা খোঁজ পায় ৬২ বছরের রজকের। সে পেশায় রিক্সা চালক‌। তবে সে এই খুনের ঘটনায় যুক্ত হল কিভাবে?Conclusion:কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, দুই রং এবং কাঠের মিস্ত্রী সাহেব ও সুলতান কাজ করেছিল ওই বাড়িতে। তাদের বন্ধু ওই রজক। বৃদ্ধার মুখে যে রুমাল রাখা ছিল, সেই রুমাল রজকের। তবে এই পরিকল্পনা সাহেব এবং সুলতানের। আপাতত সুলতানের খোঁজ করছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.