কলকাতা, 15 মার্চ : করোনার প্রকোপ থেকে এখনও রেহাই পাইনি রাজ্যবাসী । তার ওপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে নামতে পারে ডেঙ্গুর উপদ্রব । তাই সাধারণ মানুষকে যাতে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে বিপদে পড়তে না হয়, আগেভাগে পৌরসভাগুলিকে সতর্ক করল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর (Strict Measures to Control Dengue in State) ।
প্রত্যেক বছর ডেঙ্গুতে শয়ে শয়ে রাজ্যবাসী আক্রান্ত হন ৷ ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হারও নেহাত কম নয় ৷ ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে অতি বিপদজনক এবং বিপদজনক পৌরসভার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে । এই তালিকা অনুসারে মোট 43টি পৌরসভাকে অতি বিপদজনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে । পাশাপাশি 83টি পৌরসভাকে রাখা হয়েছে বিপদজনক তালিকার ।
আরও পড়ুন : Councillors Murder Case : পানিহাটি ও ঝালদায় কাউন্সিলার খুনে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের
নগর উন্নয়ন দফতরের তালিকা অনুযায়ী মোট 126টি পৌরসভা মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে । এক্ষেত্রে এই পৌরসভাগুলিকে বছরভর মশা নিধন অভিযান জারি রাখার কথা বলা হয়েছে । একইসঙ্গে এই পৌরসভাগুলিতে 16 হাজারেরও বেশি টিম তৈরি করা হয়েছে । সব মিলে প্রায় 40 হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা দমনের কাজে হাত লাগাবেন ।
মূলত এই দলগুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবে কোথায় জল জমে আছে, কোথায় মশা মারার তেল দিতে হবে প্রভৃতি বিষয়ে । এর মাধম্যে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর চাইছে, যাতে বর্ষা আসার আগেই মশার আঁতুড়ঘরগুলিকে ভেঙে দেওয়া যায় । এ বিষয়ে একইসঙ্গে নাগরিকের সক্রিয়তাও জরুরি বলে মনে করছেন এই দফতরের আধিকারিকেরা ।
আরও পড়ুন : Karnataka HC dismiss Hijab row : হিজাব পরা ধর্মীয় রীতি নয়, মামলা খারিজ কর্নাটক হাইকোর্টে
এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে শুধু পৌরসভাগুলির সক্রিয়তার মাধ্যমে মশা নিধন কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তারা । আর সে কারণেই এই কর্মযজ্ঞে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাইছে পুর দফতর । ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য বাজেটও বরাদ্দ করা হয়েছে ।