কলকাতা, 28 জানুয়ারি: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমা 'পাঠান'। যা ইতিমধ্যেই ব্লকবাস্টার। অন্যদিকে, বাংলায় মুক্তি পেয়েছে কাবেরী অন্তর্ধান। আর তা হাউজ ফুলও। তবে সেই নিয়ে চলছে চর্চা। পাঠানের ডিস্ট্রিবিউটরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যেখানে শুধুমাত্র পাঠান চলবে সেই সমস্ত হলেই তারা ওই সিনেমা দেবেন। যার জেরে চিন্তায় পড়তে হয়েছিল বাংলার পরিচালকের বানানো সিনেমা কাবেরী অন্তর্ধান। সেই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) একাধিক পোস্ট করা হয়। এবার এর প্রতিবাদে নামল বাংলাপক্ষ (Protest by Bangla Pokkho)।
বাংলা পক্ষের দাবি, বাংলার সব সিনেমা হলের সব পর্দায় প্রাইমটাইম সহ কমপক্ষে 50 শতাংশ স্লট বাংলা সিনেমার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। এটা বাংলার সরকারের দায়িত্ব। বাংলার সিনেমা হলগুলিতে বহিরাগত ডিস্ট্রিবিউটররা বাংলা সিনেমা চালাতে হিন্দি সিনেমার থেকে কয়েক গুণ বেশি চার্জ নেয়। তারা এও দাবি করেন, কিউব, ইউএফো প্রযুক্তির লাইসেন্স মালিকদের বাংলা সিনেমা ধ্বংসকারী একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। কিউব, ইউএফো'র লাইসেন্স অধিগ্রহণ করুক বাংলার সরকার।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এদিন উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডা: অরিন্দম বিশ্বাস, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, উত্তর চব্বিশ গ্রামীণের সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বনবাস ভেঙে বলিউডের সেভিয়ার সেই শাহরুখ, আত্মপ্রকাশেই ব্লকবাস্টার 'পাঠান'
গর্গ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, "বাংলার মাটিতে বাংলা সিনেমা হল পাবে না, এটা কেমন কথা? অন্য কোনও রাজ্যে এটা সম্ভব? তামিলনাড়ুতে সম্ভব? মহারাষ্ট্রে সম্ভব? কিন্তু বাংলায় সম্ভব ৷ এবার বাংলার মাটি গরম হচ্ছে। আগামীতে আশা রাখি, বাংলা সিনেমা আগে হল পাবে ৷ বলিউডের দাদাগিরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, সাহেব ভট্টাচার্য, শৈবাল মিত্র, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি এরপর ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ হবে।"
কৌশিক মাইতি বলেন, "সরকার দ্রুত আইন করুক। রাজ্য সরকার কি ঘুমাচ্ছে? বাংলার সমস্ত সিনেমা হলে কমপক্ষে 50 শতাংশ স্লটে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করতেই হবে। এখন আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে, যেভাবে বাঙালির ক্ষোভ বাড়ছে, বাংলা সিনেমা বঞ্চিত হলে সমস্যা বাড়বে ৷ তাই বাংলা পক্ষ চায় দ্রুত আইন আসুক। এবং বাঙালির ক্ষতি করা শাহরুখ খানকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্য়াম্বাসাডার থেকে সরানো হোক।"