ETV Bharat / state

ঘরবন্দী জীবনে পুরানো অভ্যাসে ঋতুপর্ণা

লকডাউনে ঘরবন্দী ঋতুপর্ণা দাস । বাংলার এক নম্বর মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকা । এখন হলদিয়ার বাড়িতে । কীভাবে দিন কাটছে তাঁর ? জানালেন ETV ভারতকে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 23, 2020, 4:16 PM IST

কলকাতা, 23 এপ্রিল : কল্পনা ছিল না, পরিস্থিতি সুযোগ করে দিল । ঘরবন্দী জীবনে তিনি ফিরেছেন পুরানো অভ্যাসে । ঋতুপর্ণা দাস । বাংলার এক নম্বর মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকা । এখন হলদিয়ার বাড়িতে । হায়দরাবাদের গোপীচাঁদ অ্যাকাডেমিতে বছরের অধিকাংশ সময় কাটে । কিন্তু লকডাউনে তিনি পরিবারের কাছে ।


2010 সালে মাত্র 13 বছর বয়সে গোপীচাঁদের অ্যাকাডেমিতে চলে গেছিলেন । তারপর থেকে নিজেকে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলার নিরন্তর সাধনা । আপাতত ক্রমপর্যায়ের তালিকায় 98 নম্বর স্থানে জায়গা করেছেন । বিশ্বের প্রথম 100য় ঢুকে পড়ার তৃপ্তি নয়, ঋতুপর্ণা দাস দৃষ্টি প্রসারিত করে আরও সাফল্যের আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করতে চান । আপাতত, লক্ষের প্রতি দৌড়ে "পজ"।

"মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমি হলদিয়াতে ফিরেছি । তার কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাকাডেমি বন্ধ করা হয়েছে। ফলে এখন ঘরেই আছি," বলছিলেন ঋতুপর্ণা । হলদিয়া যাওয়ার পথে কলকাতায় হীরক সেনগুপ্তের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেছিলেন । তারপরই হলদিয়ার বাড়িতে চলে যান গোঁপীচাদের ছাত্রী ।

লকডাউনে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা সবাই ঘরবন্দী থাকলেও বাড়িতে এক্সারসাইজ় করছেন । কারণ ফিটনেস বজায় থাকলে কোর্টে নেমে ছন্দে ফিরতে অসুবিধা হবে না । " বাড়িতে ফিটনেস বজায় রাখার চেষ্টা করছি ।" বলেন তিনি । তবে গোঁপীচাদের নজর এড়ানোর উপায় নেই বলে জানালেন । " গোপীস্যারের অনলাইন ক্লাস শুরু হয়ে গেছে । প্রতিদিন সকালে স্যার আমাদের এক্সারসাইজ় এবং যোগা সেশনটা দেখেন । একশো জন শাটলার এই সেশনে থাকেন । কিদাম্বি শ্রীকান্ত, P কাশ্যপ, B সাই প্রণীত এই ক্লাসে থাকেন । বিকেলে দিয়াকৃষ্ণা এবং দিয়া সন্তোষো স্যার আমাদের দেড় ঘণ্টার ক্লাস নেন," বলছিলেন ঋতুপর্ণা ।


লকডাউনের পরে ব্যাডমিন্টন বিশ্বের কী অবস্থা দাঁড়ায় তা জানতে অন্য সকলের মতো বাঙালি তারকা শাটলার আগ্রহী । তাহলে ঋতুপর্ণা এই অবস্থায় ট্রেনিংয়ের বাইরে কীভাবে ঘরবন্দী অবস্থায় কাটাচ্ছেন ? "ট্রেনিংয়ের বিষয়টা তো বললাম । আর বাকিটা খেয়ে এবং ছবি এঁকে চলছে । হায়দরাবাদে আলু পোস্ত পাওয়া যায় না । তাই বাড়িতে খেলাম । বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন খেয়েছি । ঘরে তৈরি ফুচকাও খেয়েছি। মশলাদার চটপটে খাবার খাওয়া চলছে । আসলে অনেক দিন পরে এতটা দিন বাড়িতে আমি, " হাসতে হাসতে বলছিলেন হলদিয়ার ঋতুপর্ণা । একই সঙ্গে যোগ করলেন, " অনেক দিন ছবি আঁকা হয়নি । এখন সেটার চেষ্টা করছি । ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ছবি দেখার কাজও চলছে।"

কলকাতা, 23 এপ্রিল : কল্পনা ছিল না, পরিস্থিতি সুযোগ করে দিল । ঘরবন্দী জীবনে তিনি ফিরেছেন পুরানো অভ্যাসে । ঋতুপর্ণা দাস । বাংলার এক নম্বর মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকা । এখন হলদিয়ার বাড়িতে । হায়দরাবাদের গোপীচাঁদ অ্যাকাডেমিতে বছরের অধিকাংশ সময় কাটে । কিন্তু লকডাউনে তিনি পরিবারের কাছে ।


2010 সালে মাত্র 13 বছর বয়সে গোপীচাঁদের অ্যাকাডেমিতে চলে গেছিলেন । তারপর থেকে নিজেকে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলার নিরন্তর সাধনা । আপাতত ক্রমপর্যায়ের তালিকায় 98 নম্বর স্থানে জায়গা করেছেন । বিশ্বের প্রথম 100য় ঢুকে পড়ার তৃপ্তি নয়, ঋতুপর্ণা দাস দৃষ্টি প্রসারিত করে আরও সাফল্যের আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করতে চান । আপাতত, লক্ষের প্রতি দৌড়ে "পজ"।

"মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমি হলদিয়াতে ফিরেছি । তার কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাকাডেমি বন্ধ করা হয়েছে। ফলে এখন ঘরেই আছি," বলছিলেন ঋতুপর্ণা । হলদিয়া যাওয়ার পথে কলকাতায় হীরক সেনগুপ্তের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেছিলেন । তারপরই হলদিয়ার বাড়িতে চলে যান গোঁপীচাদের ছাত্রী ।

লকডাউনে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা সবাই ঘরবন্দী থাকলেও বাড়িতে এক্সারসাইজ় করছেন । কারণ ফিটনেস বজায় থাকলে কোর্টে নেমে ছন্দে ফিরতে অসুবিধা হবে না । " বাড়িতে ফিটনেস বজায় রাখার চেষ্টা করছি ।" বলেন তিনি । তবে গোঁপীচাদের নজর এড়ানোর উপায় নেই বলে জানালেন । " গোপীস্যারের অনলাইন ক্লাস শুরু হয়ে গেছে । প্রতিদিন সকালে স্যার আমাদের এক্সারসাইজ় এবং যোগা সেশনটা দেখেন । একশো জন শাটলার এই সেশনে থাকেন । কিদাম্বি শ্রীকান্ত, P কাশ্যপ, B সাই প্রণীত এই ক্লাসে থাকেন । বিকেলে দিয়াকৃষ্ণা এবং দিয়া সন্তোষো স্যার আমাদের দেড় ঘণ্টার ক্লাস নেন," বলছিলেন ঋতুপর্ণা ।


লকডাউনের পরে ব্যাডমিন্টন বিশ্বের কী অবস্থা দাঁড়ায় তা জানতে অন্য সকলের মতো বাঙালি তারকা শাটলার আগ্রহী । তাহলে ঋতুপর্ণা এই অবস্থায় ট্রেনিংয়ের বাইরে কীভাবে ঘরবন্দী অবস্থায় কাটাচ্ছেন ? "ট্রেনিংয়ের বিষয়টা তো বললাম । আর বাকিটা খেয়ে এবং ছবি এঁকে চলছে । হায়দরাবাদে আলু পোস্ত পাওয়া যায় না । তাই বাড়িতে খেলাম । বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন খেয়েছি । ঘরে তৈরি ফুচকাও খেয়েছি। মশলাদার চটপটে খাবার খাওয়া চলছে । আসলে অনেক দিন পরে এতটা দিন বাড়িতে আমি, " হাসতে হাসতে বলছিলেন হলদিয়ার ঋতুপর্ণা । একই সঙ্গে যোগ করলেন, " অনেক দিন ছবি আঁকা হয়নি । এখন সেটার চেষ্টা করছি । ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ছবি দেখার কাজও চলছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.