কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: আবাস যোজনা (Awas Yojana) নিয়ে কমবেশি সমস্ত জেলাতেই অভিযোগ প্রকাশে এসেছে । বিভিন্ন জেলাতে হয়েছে বিক্ষোভ । হাতে সময় কম ৷ 31 ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনার জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমোদনের জন্য নাম পাঠাতে হবে আর এতেই বেকায়দায় নবান্ন । এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই 11 লক্ষ 36 হাজার 488 উপভোক্তার মধ্যে মাত্র 2 লক্ষ উপভোক্তার নাম পঞ্চায়েত দফতরের পোর্টালে (Panchayat portal) আপলোড করা হয়েছে ৷ আর এর মধ্যেই বাকি রয়েছে সিংহভাগ উপভোক্তার নাম । এই নিয়ে ক্ষুব্ধ নবান্ন । যদিও এ বার রাজ্যের তরফ থেকে আবাস যোজনায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য কম সময় পেয়েছে রাজ্য সরকার । দেরি করে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্যের জন্য । ফলে তড়িঘড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ করতে হয়েছে । বহু ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের নাম পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, অযোগ্য অনেকের নাম রয়েছে ৷ সে সব ঝাড়াই বাছাইয়ের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন তা ছিল না । এই অবস্থায় 11 লক্ষ 36 হাজার 888 জন উপভোক্তার নাম পোর্টালে আপলোড করা বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখছে রাজ্য ।
এখনও পর্যন্ত যতটুকু খবর পাওয়া গিয়েছে, আবাস যোজনার কাজ রাজ্যের চার জেলায় চলছে অত্যন্ত শ্লথ গতিতে । এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর দিনাজপুর ৷ প্রশ্ন উঠছে এই চার জেলায় সময়মতো আবাস যোজনার কাজ শেষ করা যাবে কি না সেটাই এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন । আর সেই কারণেই এই চার জেলার কাজে খুশি নয় নবান্ন । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই চার জেলার কাজ সম্পাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় নাম তৃণমূল নেতার পরিবারের, বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির
এখনও পর্যন্ত যা খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার জন্য আবেদন পড়েছিল 56 লক্ষ । ইতিমধ্যেই যোগ্যতা না থাকার কারণে প্রায় পাঁচ লক্ষের নাম বাদ পড়েছে এই তালিকা থেকে । পরবর্তীতে ঝাড়াই বাছাইয়ের সময় আরও 10 লক্ষ উপভোক্তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে । বাকি থাকা 29 লক্ষ প্রবক্তার আবেদনের মধ্যে থেকে রাজ্যকে 11 লক্ষ 36 হাজার 488 জনের নাম বেছে নিতে হবে । আর নবান্নে এই কাজ হবে না বরং এই কাজ হবে জেলায় জেলায় । এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে মাত্র 2 লক্ষ উপোক্তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে । 31 তারিখের আগে বাকি 9 লক্ষ উপভোক্তার নাম সংযুক্ত করতে হবে ৷ কীভাবে এই কাজ সম্পূর্ণ করে নবান্ন সেটাই এখন দেখার ।
তবে পঞ্চায়েত দফতরের যে প্রথা রয়েছে, তাতে এই নাম নথিভূক্ত করার কাজ হয় পঞ্চায়েত দফতরে বসেই । এরপর বিডিও, এসডিও এবং ডিএম তিন পর্যায়ে স্ক্রুটিনির পর অবশিষ্ট নাম পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে । এবং এই তালিকার উপর ভিত্তি করেই প্রকল্পে বাড়ি বানানোর জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে । এখন দেখার এই স্বল্প সময়ে কীভাবে সামগ্রিক কাজ সম্পন্ন করে রাজ্য ।