কলকাতা, 13 জুলাই: এবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ ব্যবস্থা আনতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। আগে মৃতের আত্মীয়দের বা পরিবারের সদস্যদের এক থানা থেকে আরেক থানা ঘোরাঘুরি করতে হত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য ৷ সেই হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে নয়া নিয়ম চালু করেছে লালবাজার ৷ বিভিন্ন মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থাকা পুলিশ আউট পোস্ট বা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এবার থেকে মিলবে ময়নাতদন্তের যাবতীয় রিপোর্ট।
লালবাজার সূত্রে খবর, এই ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম শুরু হচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালের কলকাতা পুলিশের আউট পোস্ট থেকে। অর্থাৎ কোনও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির বা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হলে সেই ব্যক্তির দেহ পরিবারকে হস্তান্তর করার আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয় ৷ সেই পথ অনেকটাই সহজ সরল হয়ে গেল ৷
কলকাতা পুলিশের একজন অফিসার ইনচার্জের জানান, যে কোনও একটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তিন থেকে চারটি থানা যুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা চলে, যদি কড়েয়া থানার এলাকায় একটি পথ দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানে আহত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল ৷ সেখানে যদি তাঁর মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে দুটি থানা এই ঘটনায় যুক্ত হচ্ছে।
পাশাপাশি ধরা যাক মৃত্যু হওয়া সেই ব্যক্তির বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কোনও একটি থানায় অন্তর্গত। ফলে মৃত ব্যক্তির দেহ হস্তান্তরের সময় বিভিন্ন থানার দরজায় দরজায় ঘুরতে হয় মৃতের আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যদের। অনেক সময় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য কাঠ-খড়ও পোড়াতে হয় মৃতের পরিবারের সদস্যদের। সেই হয়রানির শিকার আর হতে হবে না সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানাকে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ 15 হাজার টাকা দেবে লালবাজার
কলকাতা পুলিশের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার জন্য শহরের যে সকল জায়গায় বা হাসপাতালে বড় বড় মর্গ রয়েছে, সেখানকার ডিভিশনাল ডিসি এবং আউটপোস্টের ওসি এবং সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জদের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল। লালবাজার সূত্রের খবর, প্রথম অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে কলকাতা পুলিশের আউট পোস্টের থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। ধীরে ধীরে এই সরলীকরণের কাজ ছড়িয়ে পড়বে কলকাতার বাকি হাসপাতাল গুলিতেও।