কলকাতা, 14 মে : রাজ্যে এপর্যন্ত ভোটে পাঁচ জায়গায় গুলি চলেছে । এছাড়া লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের পাশাপাশি তাদের উপর লাঠিচার্জও করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে বাড়াবাড়ি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । এই মর্মে QRT (কুইক রেসপন্স টিম) পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাবকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য ।
চিঠিতে স্বরাষ্ট্র সচিব লিখেছেন, এপর্যন্ত রাজ্যে ভোটে পাঁচ জায়গায় ( গোপীবল্লভপুর, ময়না, সবং, বিষ্ণুপুর এবং ভগবানপুর) গুলি চলেছে । লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এমনকী তাদের উপর লাঠিচার্জও করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে বাড়াবাড়ি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । এর জেরে ভোটাররা আতঙ্কিত বোধ করেন ।
স্বরাষ্ট্র সচিবের অভিযোগ, চতুর্থ দফার ভোটে বীরভূমের পানরুই ও দুবরাজপুরে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া নদিয়ার থানাপাড়া ও হরিণঘাটায় লোকজনকে মারধর করা হয় । চতুর্থ দফায় নদিয়ার করিমপুরে বুথ থেকে 200 মিটার দূরে দাঁড়িয়েও ভোটারদের মার খেতে হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চম দফায়, হাওড়ায় সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বল প্রয়োগ করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে । ষষ্ঠ দফার ভোটেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় গুলি চালানো ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে । কেন্দ্রীয় বাহিনীর (CAPF) বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তারা বুথের ভিতরে ঢুকে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠিতে আরও লেখেন, "এই বিষয়ে আপনারাও সম্মত হবেন যে, নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । তবে সংশ্লিষ্ট এলাকা ও পরিস্থিতি বোঝার জন্য এবং ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের থাকারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের পুলিশকে QRT - তে রাখা হয়নি। ফলে অনেক জায়গায় QRT পৌঁছাতে পারেনি ।
তাই অনুরোধ করা হচ্ছে, পরের দফায় QRT পরিচালনায় রাজ্য পুলিশের বিষয়টি বিবেচনা করা হোক
।"