কলকাতা, 21 জুলাই: বিদ্রোহ কি শেষ ! একুশের মঞ্চে হাজির শিল্পী শুভাপ্রসন্ন । বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ না মিললেও বসলেন প্রথম সারিতেই সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে । এমনকী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় বারবার মাথা নাড়তেও দেখা গেল তাঁকে ।
খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আবার অবস্থান বদলালের শুভাপ্রসন্ন ? রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এই বিশিষ্ট শিল্পী বলেছিলেন, ‘‘ভোট গণতন্ত্রের উত্সব, সেখানে যদি এত মানুষের প্রাণ যায়, এই সংস্কৃতির যদি বদল না হয়, এখানে যা হয় সারা দেশে কোথাও হয় না । সময় এসেছে, মুক্তমনা, বুদ্ধিজীবী মানুষ জোটবদ্ধ হয়ে ফের পথে নামুক । আমি আহ্বান জানাচ্ছি । আমার বিশ্বাস হাজার হাজার মানুষ তাতে যোগ দেবেন । আমরা আবার মিছিল করতে পারি ৷ যে মিছিল আমরা করেছিলাম, পরিবর্তন চাই বলে ।’’
আরও পড়ুন: একুশে জুলাইয়ে ধর্মতলায় জনস্রোত, কী বার্তা দিলেন মমতা-অভিষেক ? দেখে নিন একনজরে
পঞ্চায়েতের হিংসা নিয়ে যে শুভাপ্রসন্নের স্বর ছিল কড়া । এরপর শুক্রবার একুশের মঞ্চে বসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে শুনলেন, বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন । পঞ্চায়েতে কয়েকটি বুথে মাত্র ঝামেলা হয়েছে । পঞ্চায়েতের আগে ও পরে রাজ্যে 29 জনের মৃত্যু হয়েছে । তার মধ্যে 18 জনই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ।
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পালটা অবশ্য কোনও জবাব পাওয়া যায়নি শুভাপ্রসন্নর কাছ থেকে । ফলে অনেকেই ধরে নিচ্ছেন হয়তো তৃণমূল নেত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যানই মেনে নিচ্ছেন তিনি । একুশের মঞ্চে শুভাপ্রসন্নের উপস্থিতি নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এরা হলেন সুবিধাবাদী ৷ এঁদের থেকে এর চেয়ে বেশি কী আশা করা যেতে পারে । আর সে কারণেই এদের বক্তব্যের কোনও সরবত্তা নেই ।’’
আরও পড়ুন: গান্ধি জয়ন্তীতে দিল্লি চলোর ডাক মমতার
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে বারংবার বিভিন্ন বিষয় টিপ্পনি করতে দেখা গিয়েছে শুভপ্রসন্নকে । এরপর এর জন্য পালটা শুনতেও হয়েছে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষের থেকে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ তো সরাসরিই বলেছেন, ‘‘ওর জমি লাগবে, নাকি পদ লাগবে, সেটা জেনে নিলেই চুপ থাকবে ।’’ শুভাপ্রসন্ন সম্পর্কে তৃণমূল নেতাদের এও বলতে শোনা গিয়েছে 'ওঁর একটু চুলকোয়' । এসবের পরেও একুশের মঞ্চে শুভাপ্রসন্নের উপস্থিতি কি এটাই বোঝালো যে সব মেনেই নিয়েছেন তিনি !