কলকাতা, 13 জুলাই : কলকাতা থেকে জেএমবি সদস্য সন্দেহে ধৃত তিনজনের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ ছিল জেএমবি শীর্ষ নেতা আল আমিনের । পশ্চিমবঙ্গে স্লিপার সেল পুনরায় সক্রিয় করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য । নিয়মিত এই যোগাযোগের একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ইতিমধ্যেই তদন্তকারী গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে । ধৃতদের জেরায় মিলেছে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য ।
2014-র অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতার ফলে কিছুটা হলেও পশ্চিমবঙ্গে কোমর ভেঙে গিয়েছিল জেএমবির । লালবাজার সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে জেএমবির এই নিষ্ক্রিয় স্লিপার সেলগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য এবং সেই উদ্দেশ্যেই ধৃত তিনজনকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল । এছাড়া, বাংলার সংরক্ষিত জায়গাগুলিতে নিজেদের জায়গা করে সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছে তুলে ধরাই ছিল উদ্দেশ্য । জানা গিয়েছে, এই বিষয় সাহায্য আসত বাংলাদেশ থেকেই ।
এরই মধ্যে নাম উঠে আসছে নাহিদ তাসমিনের ৷ বাংলাদেশের জেলে বসেই কলকাতায় জেএমবির স্লিপার সেলকে সক্রিয় করার কাজ করছিল নাহিদ তাসমিন নামে জেএমবির সক্রিয় সদস্য । এরাজ্যে জেএমবি’র জঙ্গিদের স্লিপার সেলগুলিকে মজবুত করার জন্য বাংলাদেশ থেকে ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থাও হয়েছিল । ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন, JMB Terrorists arrested : কলকাতার আশপাশেই লুকিয়ে আরও জেএমবি জঙ্গি, জেরায় চাঞ্চল্য়কর তথ্য
সিআইডি-র সক্রিয় হওয়ার পর এ রাজ্যের ভারত, বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে জেএমবি সদস্য সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এরপর থেকেই নিজের অস্তিত্ব হারাতে বসেছিল বাংলাদেশের এই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা । ফলে পুলিশের নজর থেকে নিজেদের বাঁচাতে এবার নিজেদের সেফ করিডর হিসাবে তারা বেছে নিয়েছিল কলকাতাকে ৷ কিন্তু অতীতে কলকাতার একাধিক জায়গায় একাধিক জেএমবি সদস্যদের গ্রেফতারের নজির রয়েছে । ফলে এবার কলকাতা-দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার সীমান্ত বরাবর বেহালার হরিদেবপুর থানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিজেদের স্লিপার সেলকে মজবুত করার কাজ করছিল জেএমবির সদস্যরা । এই ঘটনায় নাম উঠে আসছে বাংলাদেশের জেলে বন্দী নাহিদ তাসমিনের নাম । লালবাজার সূত্রের খবর তার এতটাই ক্ষমতা, সংশোধনাগারের মধ্যে থেকেই বাংলায় নিজের নেটওয়ার্ক সক্রিয় করার কাজ করছিল ।
লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছে । পাশাপাশি প্রয়োজনে ধৃত এই তিনজনকে আলাদা আলাদা করে জেরা করতে পারে সিআইডি । পাশাপাশি এনআইএ-এর তরফেও এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই লালবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে খবর ।