ETV Bharat / state

কলকাতায় অস্ত্র কারখানার হদিশ, গ্রেপ্তার মুঙ্গেরের "ইঞ্জিনিয়র" - অস্ত্র কারখানায় গ্রেপ্তার মুঙ্গেরি ইঞ্জিনিয়ার

ধৃতের নাম আবদুল কাইয়ুম ওরফে মুন্না(28) । মুঙ্গের জেলার রামপুরের বাসিন্দা । এখানে নাদিয়াল থানা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত সে । সেখান থেকে খানিক দূরেই মহম্মদ কালিম নামে এক দুষ্কৃতীর বাড়ির ছাদে বেআইনি অস্ত্র তৈরি করা হত । গতকাল রাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে 7MM, 9MM-র মতো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কালিম এই চক্রের মাথা । যদিও মহম্মদ কালিমসহ অন্যদের খোঁজ পাওয়া যায়নি ।

image
ধৃত আবদুল কাইয়ুম
author img

By

Published : Jan 7, 2020, 7:40 PM IST

Updated : Jan 8, 2020, 1:20 AM IST

কলকাতা, 7 জানুয়ারি : বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গেল বন্দর এলাকায় । সোমবার রাতে নাদিয়াল থানা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক মুঙ্গেরি ইঞ্জিনিয়রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । সম্প্রতি এক দুষ্কৃতীর কাছে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রর সূত্র ধরেই ওই কারখানার খোঁজ পায় তারা । কারখানা থেকে বিভিন্ন বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ।

ধৃতের নাম আবদুল কাইয়ুম ওরফে মুন্না(28) । বিহারের মুঙ্গের জেলার রামপুরের বাসিন্দা । এখানে নাদিয়াল থানা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত । সেখান থেকে খানিক দূরেই মহম্মদ কালিম নামে এক দুষ্কৃতীর বাড়ির ছাদে বেআইনি অস্ত্র তৈরি করা হত । প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কালিম এই চক্রের মাথা । অস্ত্র তৈরি এবং পাচারে মূল ভূমিকা নিত সে । মূলত তার উদ্যোগেই বিহার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল আবদুল কাইয়ুম ওরফে মুন্নার মতো ইঞ্জিনিয়র । গতকাল রাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে 7MM, 9MM-র মতো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । যদিও মহম্মদ কালিমসহ অন্যদের খোঁজ পাওয়া যায়নি ।

image
উদ্ধার বেআইনি অস্ত্র

এই ইঞ্জিনিয়রের পিছনে একটা ইতিহাস আছে । আসলে একটা সময় বিহারের মুঙ্গের ছিল অস্ত্র কারবারের মুক্তাঞ্চল । সেখানে তৈরি দেশি “ঘোড়া" ছড়িয়ে পড়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । এমনকী তা যেত বাংলাদেশেও । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঢাকায় হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল মুঙ্গেরি অস্ত্র । হাত কাটা নাসিরুল্লাহ সেই অস্ত্র নানাভাবে ঢুকিয়েছিল বাংলাদেশে । দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সব অস্ত্রের দাম অনেকটাই কম । যারা নিখুঁত দক্ষতায় অস্ত্র বানিয়ে ফেলে তাদেরকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়র । অস্ত্র কারবারিদের কোড নাম । গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকা বিদেশি 9MM পিস্তলের দাম পড়ে যায় 60 থেকে 70 হাজার টাকা । সেখানে মুঙ্গের ইঞ্জিনিয়রদের তৈরি 9MM পিস্তল পাওয়া যায় 10 থেকে 15 হাজার টাকায় । স্বাভাবিকভাবেই পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা "ডন"-এর কাছে কদর রয়েছে মুঙ্গেরের ওই ইঞ্জিনিয়রদের হাতের কাজের ।

সম্প্রতি বিহার প্রশাসন কড়া মনোভাব নেওয়ায় এইসব ইঞ্জিনিয়ররা ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে । গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে এমনই তথ্য । সেটা প্রথম সামনে আসে কাঁকিনাড়া অস্ত্র কারখানার পরদা ফাঁসের পর । 2018 সালের 30 জুলাই সুকু শেখ নামে মালদার কালিয়াচকের এক জালনোটের কারবারিকে পাকড়াও করে STF। তাদের সঙ্গেই ধরা পড়ে আমজাদ রায়ান এবং আব্দুল্লাহ নামে মুঙ্গেরের দুই বাসিন্দা । তাদের কাছে উদ্ধার হয় 1 লাখ টাকার জালনোট এবং 40 টি সেমি ফিনিসড 9MM পিস্তল । তাদের জেরা করেই জানা যায় কাঁকিনাড়ার লাড্ডু কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানা কথা । পরে নাদিয়ালের মতো আরও এরকম কারখানার খোঁজ পাওয়া যায় ।

কলকাতা, 7 জানুয়ারি : বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গেল বন্দর এলাকায় । সোমবার রাতে নাদিয়াল থানা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক মুঙ্গেরি ইঞ্জিনিয়রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । সম্প্রতি এক দুষ্কৃতীর কাছে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রর সূত্র ধরেই ওই কারখানার খোঁজ পায় তারা । কারখানা থেকে বিভিন্ন বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ।

ধৃতের নাম আবদুল কাইয়ুম ওরফে মুন্না(28) । বিহারের মুঙ্গের জেলার রামপুরের বাসিন্দা । এখানে নাদিয়াল থানা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত । সেখান থেকে খানিক দূরেই মহম্মদ কালিম নামে এক দুষ্কৃতীর বাড়ির ছাদে বেআইনি অস্ত্র তৈরি করা হত । প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কালিম এই চক্রের মাথা । অস্ত্র তৈরি এবং পাচারে মূল ভূমিকা নিত সে । মূলত তার উদ্যোগেই বিহার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল আবদুল কাইয়ুম ওরফে মুন্নার মতো ইঞ্জিনিয়র । গতকাল রাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে 7MM, 9MM-র মতো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । যদিও মহম্মদ কালিমসহ অন্যদের খোঁজ পাওয়া যায়নি ।

image
উদ্ধার বেআইনি অস্ত্র

এই ইঞ্জিনিয়রের পিছনে একটা ইতিহাস আছে । আসলে একটা সময় বিহারের মুঙ্গের ছিল অস্ত্র কারবারের মুক্তাঞ্চল । সেখানে তৈরি দেশি “ঘোড়া" ছড়িয়ে পড়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । এমনকী তা যেত বাংলাদেশেও । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঢাকায় হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল মুঙ্গেরি অস্ত্র । হাত কাটা নাসিরুল্লাহ সেই অস্ত্র নানাভাবে ঢুকিয়েছিল বাংলাদেশে । দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সব অস্ত্রের দাম অনেকটাই কম । যারা নিখুঁত দক্ষতায় অস্ত্র বানিয়ে ফেলে তাদেরকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়র । অস্ত্র কারবারিদের কোড নাম । গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকা বিদেশি 9MM পিস্তলের দাম পড়ে যায় 60 থেকে 70 হাজার টাকা । সেখানে মুঙ্গের ইঞ্জিনিয়রদের তৈরি 9MM পিস্তল পাওয়া যায় 10 থেকে 15 হাজার টাকায় । স্বাভাবিকভাবেই পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা "ডন"-এর কাছে কদর রয়েছে মুঙ্গেরের ওই ইঞ্জিনিয়রদের হাতের কাজের ।

সম্প্রতি বিহার প্রশাসন কড়া মনোভাব নেওয়ায় এইসব ইঞ্জিনিয়ররা ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে । গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে এমনই তথ্য । সেটা প্রথম সামনে আসে কাঁকিনাড়া অস্ত্র কারখানার পরদা ফাঁসের পর । 2018 সালের 30 জুলাই সুকু শেখ নামে মালদার কালিয়াচকের এক জালনোটের কারবারিকে পাকড়াও করে STF। তাদের সঙ্গেই ধরা পড়ে আমজাদ রায়ান এবং আব্দুল্লাহ নামে মুঙ্গেরের দুই বাসিন্দা । তাদের কাছে উদ্ধার হয় 1 লাখ টাকার জালনোট এবং 40 টি সেমি ফিনিসড 9MM পিস্তল । তাদের জেরা করেই জানা যায় কাঁকিনাড়ার লাড্ডু কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানা কথা । পরে নাদিয়ালের মতো আরও এরকম কারখানার খোঁজ পাওয়া যায় ।

Intro:কলকাতা, 7 জানুয়ারি: বন্দর এলাকায় এখনও যেন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। মাদক থেকে স্মাগলিং রাজ, ট্র্যাডিশন যেন সমানে চলছে। সেখানেই এবার অস্ত্র কারখানার খোঁজ পাওয়া গেল। নাদিয়াল থানা এলাকায় ওয়ারিশ নগরে চলছিল সেই অস্ত্র কারখানা। মুঙ্গের থেকে "ইঞ্জিনিয়ার” আনিয়ে গুছিয়ে চলছিল সেভেন এমএম, নাইন এমএম মতো আগ্নেয়আস্ত্র তৈরির কাজ। সম্প্রতি এক দুষ্কৃতীর কাছে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রর সূত্র ধরে ওই কারখানার খোঁজ পান গোয়েন্দারা। সেখানে গত রাতে চালানো হয় তল্লাশি। তাতে পর্দা ফাঁস হলো অস্ত্র কারখানার। ঘটনায় এক মুঙ্গের “ইঞ্জিনিয়ার"কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র তৈরি জিনিসপত্র।


Body:লালবাজার সূত্রে খবর, z/3, 238/H/101, ওয়ারিশ নগরের 4 নম্বর গলিতে বাড়ি মহম্মদ কালিমের। সেই বাড়ির ছাদে একটি টালির শেড তৈরি করে গড়ে উঠেছিল অস্ত্র কারখানা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কালিম এই চক্রের কিংপিন। অস্ত্র তৈরি এবং পাচারে মূল ভূমিকা নিত সে। মূলত তাঁর উদ্যোগেই বিহার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল আব্দুল কাইয়ুম ওরফে মুন্নার মত “ইঞ্জিনিয়ার"। মুন্না মুঙ্গেরের কুখ‍্যাত রামপুরের বাসিন্দা। বয়স 28 বছর। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি তার কাছে জলভাত। মুন্না নাদিয়াল থানা এলাকার আইউব নগরের চিনা ম্যারেজ হলে ভাড়া থাকত। সেখান থেকে অনতিদূরে কালিমের বাড়িতে বানাত অস্ত্র। গতরাতে বমাল গ্রেপ্তার করা হয় মুন্নাকে। কিন্তু কালিম সহ অন্যদের খোঁজ মেলেনি। তারা সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়। পুলিশের ধারণা এই অস্ত্র কারখানায় মুন্নার মতো আরও ইঞ্জিনিয়ার ছিল। তাদের খোঁজ চলছে।

প্রশ্ন হল এই ইঞ্জিনিয়ার কারা?

আসলে একটা সময় বিহারের মুঙ্গের ছিল অস্ত্র কারবারের মুক্তাঞ্চল। সেখানে তৈরি দেশি “ঘোড়া" ছড়িয়ে পড়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকি তা যেত বাংলাদেশেও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঢাকায় হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল মুঙ্গেরি অস্ত্র। হাত কাটা নাসিরুল্লাহ সেই অস্ত্র নানাভাবে ঢুকিয়েছিল বাংলাদেশ। সাধারণ লেদ মেশিনে অসাধারণ এক বেআইনি কারবার চলত মুঙ্গেরে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সব অস্ত্রের দাম অনেকটাই কম। যারা নিখুঁত দক্ষতায় অস্ত্র বানিয়ে ফেলে তাদেরকে বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার। অস্ত্র কারবারীদের কোড নেম। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকা বিদেশি নাইন এমএম পিস্তলের দাম পড়ে যায় 60 থেকে 70 হাজার টাকা। সেখানে মুঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া যায় 10 থেকে 15 হাজার টাকায়। স্বাভাবিকভাবেই পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা "ডন" কাছে কদর রয়েছে মুঙ্গেরের ওই ইঞ্জিনিয়ারদের হাতের কাজের।



Conclusion:সম্প্রতি বিহার প্রশাসন কড়া মনোভাব নেওয়ায় ঐসব ইঞ্জিনিয়াররা ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে এমনই তথ্য। সেটা প্রথম সামনে আসে কাকিনারা অস্ত্র কারখানার পর্দা ফাঁসের পর। 2018 সালের 30 জুলাই সুকু শেখ নামে মালদার কালিয়াচকের এক জাল নোটের কারবারিকে এসটিএফ পাকড়াও করে। তাদের সঙ্গেই ধরা পড়ে আমজাদ রায়ান এবং আব্দুল্লাহ নামে মুঙ্গেরের দুই বাসিন্দা। তাদের কাছে উদ্ধার হয় 1 লাখ টাকার জাল নোট এবং 40 টি সেমি ফিনিসড নাইন এমএম পিস্তল। তাদের জেরা করেই জানা যায় কাকিনাড়ার লাড্ডু কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানা কথা। পরে আগরপাড়া উষুমপুর এবং রাজারহাটে একই কায়দায় অস্ত্র কারখানা গজিয়ে ওঠার খবর মেলে। গতবছর 10 সেপ্টেম্বর উত্তর 24 পরগনার মিনাখাঁয় শফিকুল গাজীর অস্ত্র কারখানার খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানেও অস্ত্র বানাচ্ছিল দুজন ইঞ্জিনিয়ার। তাদের নাম শামসের আলম এবং মহম্মদ ফিরোজ। সেই একই কায়দায় নাদিয়ালেও চলছিল অস্ত্র কারখানা।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অগ্নেয়াস্ত্র তৈরির উপকরণসহ একটি ফিনিশড নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে গতকালের তল্লাশিতে। ঘটনায় কালিম সহ অন্যদের খোঁজ শুরু হয়েছে।
Last Updated : Jan 8, 2020, 1:20 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.