কলকাতা, 22 অগস্ট: অবশেষে খোঁজ মিলল আলু ওরফে অরিত্র মজুমদারের ৷ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি নিজের সম্পর্কে জানালেন ৷ দাবি করলেন যে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই ৷ তাই তিনি যেকোনও ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ৷
সোশাল মিডিয়ায় অরিত্র মজুমদার জানিয়েছেন, গত 10 অগস্ট রাজধানী এক্সপ্রেসে তিনি দিল্লি যান ৷ তারপরে শ্রীনগরগামী বিমান ধরে তিনি গিয়েছিলেন কাশ্মীরের গ্রেট লেকস । এর আগে একাধিকবার ট্রেকিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৷ এবারও তিনি ট্রেকিংয়ের জন্যই কাশ্মীরে গিয়েছিলেন বলে সোশাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন অরিত্র ৷
যাদবপুরে প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত 9 অগস্ট ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের ৷ পরিবারের তরফে ব়্যাগিংয়ের জেরে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ ৷ ইতিমধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তনী মিলিয়ে 12 জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধরা পড়েনি এমন কয়েকজন অভিযুক্তের নামও রয়েছে ৷ সেই তালিকাতেই ছিল অরিত্র মজুমদার ওরফে আলুর নাম ৷
ওই ছাত্রের মৃত্যুর কয়েকদিন পর একটি চ্যাট ভাইরাল হয় ৷ সেই চ্যাট থেকেই আলুর নাম উঠে আসে ৷ তখনই অভিযোগ ওঠে যে আলুও জড়িত এই ব়্যাগিংকাণ্ডে ৷ অরিত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গবেষণা করছে ৷ তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িত ৷ তিনি ফেটসুর সভাপতি ৷ তাই তাঁর নাম ব়্যাগিং-কাণ্ডে জড়ানোয় হইচই পড়ে যাদবপুরে ৷ তাঁর খোঁজ শুরু হয়৷ অবশেষে তিনি নিজেই সোশাল মিডিয়া মারফত নিজের অবস্থান জানালেন ৷
একই সঙ্গে দাবি করলেন যে ওই ছাত্রের মৃত্যুর সময় তিনি হস্টেলে ছিলেন না ৷ তার আগেও বেশ কিছুদিন তিনি হস্টেলে যাননি ৷ এমনকী, ঘটনার রাতে যে বেসরকারি হাসপাতালে ওই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেও তিনি যাননি ৷ এই বিষয়ে এতদিন তিনি কিছু জানতেনই না ৷ তাই তিনি এই বিষয়ে যেকোনও রকম তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অরিত্র ৷
আরও পড়ুন: অ্যান্টি র্যাগিংয়ের স্কোয়াড তৈরির কথা ভাবছে যাদবপুর, বৈঠকে নয়া উপাচার্য
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে খবর, গতকাল সোমবার অরিত্রকে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে একটি ইমেল করা হয় । এমনকী, এই ট্রেকিং বাবদ কোনও ছুটিও নেননি অরিত্র ৷