ETV Bharat / state

ওষুধের টাকা বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান বৃদ্ধের - Donation

22 বছর আগে অবসর নিয়েছেন ৷ বর্তমানে পেনশনের টাকাই সম্বল ৷ সেই টাকা ওষুধ কিনতেই চলে যায় । তা থেকে বাঁচিয়েই 10 হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ৷

10 হাজার টাকার চেক হাতে সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
10 হাজার টাকার চেক হাতে সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Apr 13, 2020, 9:44 PM IST

কলকাতা, 13 এপ্রিল : নেতাজির নামে বাবা-মা নাম রেখেছিলেন সুভাষচন্দ্র ৷ তবে পদবিটা আলাদা ৷ তিনি দমদমের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অশীতিপর সুভাষবাবু ৷ হয়ে উঠলেন সকলের প্রেরণা ৷

একটা সময় কলেজের অধ্যাপক ছিলেন ৷ বর্তমানে দমদমে একাই থাকেন ৷ অবসর নিয়েছেন 22 বছর আগে ৷ তারপর থেকে পেনশনের টাকাই তাঁর সম্বল ৷ বয়সের সঙ্গে নানা রোগও শরীরে বাসা বেঁধেছে ৷ ওষুধেই চলে যায় পেনশনের টাকা ৷ তবে, চারিদিকে কী ঘটছে সেই খবর রাখেন তিনি ৷ তারপরই কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হওয়ার ইচ্ছে জেগে ওঠে ৷

10 হাজার টাকার চেক হাতে সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
10 হাজার টাকার চেক হাতে সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

গতকাল সকাল থেকে ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সুভাষবাবু ৷ অশক্ত শরীরে বাইরে এভাবে দাঁড়িয়ে কেন ? কারও কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি ৷ শুধু অপেক্ষা ছিল পুলিশের এক টহলদারি ভ্যানের ৷ অবশেষে পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে থামাতে বলেন সুভাষবাবু ৷ তা দেখে প্রথমে পুলিশ আধিকারিকরা ভেবেছিলেন, নিশ্চয় কোনও সাহায্য দরকার ৷ কিন্তু, গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে ভুল ভাঙে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার জন্য 10 হাজার টাকার চেক তাঁদের হাতে তুলে দেন সুভাষবাবু ৷

পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে বলেন, "আপনি তো অনলাইনে টাকাটা ট্রান্সফার করে দিতে পারতেন ৷" সুভাষবাবু বলেন, "বয়স হয়েছে ৷ অনলাইন ব্যাঙ্কিং পারি না ৷ তাই একটা সুরক্ষিত হাত খুঁজছিলাম ৷"

কলকাতা, 13 এপ্রিল : নেতাজির নামে বাবা-মা নাম রেখেছিলেন সুভাষচন্দ্র ৷ তবে পদবিটা আলাদা ৷ তিনি দমদমের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অশীতিপর সুভাষবাবু ৷ হয়ে উঠলেন সকলের প্রেরণা ৷

একটা সময় কলেজের অধ্যাপক ছিলেন ৷ বর্তমানে দমদমে একাই থাকেন ৷ অবসর নিয়েছেন 22 বছর আগে ৷ তারপর থেকে পেনশনের টাকাই তাঁর সম্বল ৷ বয়সের সঙ্গে নানা রোগও শরীরে বাসা বেঁধেছে ৷ ওষুধেই চলে যায় পেনশনের টাকা ৷ তবে, চারিদিকে কী ঘটছে সেই খবর রাখেন তিনি ৷ তারপরই কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হওয়ার ইচ্ছে জেগে ওঠে ৷

10 হাজার টাকার চেক হাতে সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
10 হাজার টাকার চেক হাতে সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

গতকাল সকাল থেকে ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সুভাষবাবু ৷ অশক্ত শরীরে বাইরে এভাবে দাঁড়িয়ে কেন ? কারও কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি ৷ শুধু অপেক্ষা ছিল পুলিশের এক টহলদারি ভ্যানের ৷ অবশেষে পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে থামাতে বলেন সুভাষবাবু ৷ তা দেখে প্রথমে পুলিশ আধিকারিকরা ভেবেছিলেন, নিশ্চয় কোনও সাহায্য দরকার ৷ কিন্তু, গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে ভুল ভাঙে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার জন্য 10 হাজার টাকার চেক তাঁদের হাতে তুলে দেন সুভাষবাবু ৷

পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে বলেন, "আপনি তো অনলাইনে টাকাটা ট্রান্সফার করে দিতে পারতেন ৷" সুভাষবাবু বলেন, "বয়স হয়েছে ৷ অনলাইন ব্যাঙ্কিং পারি না ৷ তাই একটা সুরক্ষিত হাত খুঁজছিলাম ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.