ETV Bharat / state

বাংলার কর্মহীন শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ানদের কাছে আমফান আশীর্বাদ

author img

By

Published : May 26, 2020, 4:42 PM IST

লকডাউনের জেরে দুই মাস কর্মহীন হয়ে বসেছিলেন বহু শ্রমিক । আমফান যেন তাঁদের কাছে আশীর্বাদ হিসেবে এল । রাস্তার গাছ সরাতে বা বিদ্যুতের তার ঠিক করতে প্রশাসনের তরফে কর্মহীন শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ানদেরই সাহায্য নিতে দেখা গেল । দৈনিক ভিত্তিতে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে বেতনও ।

আমফান
আমফান

কলকাতা, 26 মে : কথায় বলে 'কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ' । আমফান-ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ যেন এই বাংলা প্রবাদেরই আক্ষরিক অর্থ গ্রহণ করেছে । একদিকে, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ায় দক্ষিণবঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুহারা । নষ্ট হয়ে গিয়েছে জমির পর জমি ফসল । ভেঙে গিয়েছে গাছ । এখনও বহু জায়গাতেই পানীয় জল, বিদ্যুতের হাহাকার । তেমনই অন্যদিকে, লকডাউনের ফলে দুই মাস কর্মহীন বহু শ্রমিক ও ইলেকট্রিশিয়ান যেন এই আমফানের ফলেই নতুন করে জীবিকার সুযোগ পেয়েছেন ।

পাঁচ দিনেরও বেশি সময় ধরে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জল নেই । বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে । তারই মধ্যে উপড়ে পড়া গাছ রাস্তা থেকে সরানোর জন্য ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনর্নির্মাণের কাজে বহু শ্রমিক ও ইলেকট্রিশিয়ানদের নিযুক্ত করেছে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির প্রশাসন ।

কলকাতা পৌরনিগমের এক কাউন্সিলর বলেন, "লকডাউনের জেরে কর্মীরা কাজে আসতে পারছেন না । তাই লোকবল কমে গিয়েছে । সেই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজে স্থানীয় কর্মীদের সাহায্য নেওয়া হবে । যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করার কাজ CESC-রই । রাস্তা-ঘাটে চারপাশে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে । সেগুলি সরানোর জন্য স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ানদের সাহায্য নেওয়া আমাদের প্রয়োজন ।" শুধু কলকাতা পৌরনিগমই নয়, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পৌরসভাও স্থানীয় শ্রমিকদের রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজে নিযুক্ত করেছে ।

দক্ষিণ দমদম পৌরসভার কাউন্সিলর অভিজিৎ মিত্র বলেন, "আমাদের পৌর এলাকায় প্রায় এক হাজারেরও বেশি গাছ ভেঙে পড়েছে । আমাদের লোকবলও বর্তমানে কম । তাই আমরা শ্রমিকদের এই কাজ নিযুক্ত করেছি । যারা গত দুই মাস লকডাউনের জন্য বাড়িতে বসে রয়েছেন । তাঁদের দৈনিক-বেতন দিয়ে কাজ করাচ্ছি ।"

মনোজ সারঙ্গী নামে এক শ্রমিক গাছের গুঁড়ি কাটার কারখানায় কাজ করতেন । কিন্তু, লকডাউনের জেরে দুই মাস তিনি কর্মহীন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ দমদম পৌরসভার হয়ে প্রতিদিন 250 টাকা বেতনের ভিত্তিতে পুনর্নির্মাণ কাজে যোগ দিয়েছেন । তিনি বলেন, "গত দুই মাস আমার কোনও কাজ ছিল না । সঞ্চয়ের টাকাও সব শেষের পথে । আমফানের ফলে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ পেয়ে আমার পরিবার বেঁচে গেল ।" মনোজের মতো 100জন শ্রমিককে এই কাজে লাগিয়েছে প্রশাসন ।

সজল দাসের মতো ইলেকট্রিশিয়ানদের কাছে এই ঘূর্ণিঝড় আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছু নয় । তিনি বলেন, "আগে 500 টাকা দৈনিক বেতনে কাজ করতাম । কিন্তু, লকডাউনের জেরে তা বন্ধ হয়ে যায় । রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর 22 মে থেকে ফের কাজ আসতে শুরু করেছে । ফোনের রিং বেজেই চলেছে । মানুষ ফোন করে জলের পাম্প, বিদ্যুতের তার ঠিক করে দিতে বলছে ।"

কলকাতা, 26 মে : কথায় বলে 'কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ' । আমফান-ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ যেন এই বাংলা প্রবাদেরই আক্ষরিক অর্থ গ্রহণ করেছে । একদিকে, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ায় দক্ষিণবঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুহারা । নষ্ট হয়ে গিয়েছে জমির পর জমি ফসল । ভেঙে গিয়েছে গাছ । এখনও বহু জায়গাতেই পানীয় জল, বিদ্যুতের হাহাকার । তেমনই অন্যদিকে, লকডাউনের ফলে দুই মাস কর্মহীন বহু শ্রমিক ও ইলেকট্রিশিয়ান যেন এই আমফানের ফলেই নতুন করে জীবিকার সুযোগ পেয়েছেন ।

পাঁচ দিনেরও বেশি সময় ধরে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জল নেই । বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে । তারই মধ্যে উপড়ে পড়া গাছ রাস্তা থেকে সরানোর জন্য ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনর্নির্মাণের কাজে বহু শ্রমিক ও ইলেকট্রিশিয়ানদের নিযুক্ত করেছে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির প্রশাসন ।

কলকাতা পৌরনিগমের এক কাউন্সিলর বলেন, "লকডাউনের জেরে কর্মীরা কাজে আসতে পারছেন না । তাই লোকবল কমে গিয়েছে । সেই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজে স্থানীয় কর্মীদের সাহায্য নেওয়া হবে । যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করার কাজ CESC-রই । রাস্তা-ঘাটে চারপাশে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে । সেগুলি সরানোর জন্য স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ানদের সাহায্য নেওয়া আমাদের প্রয়োজন ।" শুধু কলকাতা পৌরনিগমই নয়, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পৌরসভাও স্থানীয় শ্রমিকদের রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজে নিযুক্ত করেছে ।

দক্ষিণ দমদম পৌরসভার কাউন্সিলর অভিজিৎ মিত্র বলেন, "আমাদের পৌর এলাকায় প্রায় এক হাজারেরও বেশি গাছ ভেঙে পড়েছে । আমাদের লোকবলও বর্তমানে কম । তাই আমরা শ্রমিকদের এই কাজ নিযুক্ত করেছি । যারা গত দুই মাস লকডাউনের জন্য বাড়িতে বসে রয়েছেন । তাঁদের দৈনিক-বেতন দিয়ে কাজ করাচ্ছি ।"

মনোজ সারঙ্গী নামে এক শ্রমিক গাছের গুঁড়ি কাটার কারখানায় কাজ করতেন । কিন্তু, লকডাউনের জেরে দুই মাস তিনি কর্মহীন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ দমদম পৌরসভার হয়ে প্রতিদিন 250 টাকা বেতনের ভিত্তিতে পুনর্নির্মাণ কাজে যোগ দিয়েছেন । তিনি বলেন, "গত দুই মাস আমার কোনও কাজ ছিল না । সঞ্চয়ের টাকাও সব শেষের পথে । আমফানের ফলে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ পেয়ে আমার পরিবার বেঁচে গেল ।" মনোজের মতো 100জন শ্রমিককে এই কাজে লাগিয়েছে প্রশাসন ।

সজল দাসের মতো ইলেকট্রিশিয়ানদের কাছে এই ঘূর্ণিঝড় আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছু নয় । তিনি বলেন, "আগে 500 টাকা দৈনিক বেতনে কাজ করতাম । কিন্তু, লকডাউনের জেরে তা বন্ধ হয়ে যায় । রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর 22 মে থেকে ফের কাজ আসতে শুরু করেছে । ফোনের রিং বেজেই চলেছে । মানুষ ফোন করে জলের পাম্প, বিদ্যুতের তার ঠিক করে দিতে বলছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.