কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর : একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার খরচ হিসাবে অতিরিক্ত বিল করার অভিযোগ উঠল । অন্য একটি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোরোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য আলাদা করে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়ার অভিযোগ । এমনই দু'টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)-এ। এই দুই পৃথক অভিযোগের ঘটনায়, ওই দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হলফনামা পেশ করতে বলল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন ।
অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ উঠেছে ঢাকুরিয়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে । কমিশন জানিয়েছে, ঢাকুরিয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে 15 দিন এক রোগীকে রাখা হয়েছিল । এর মধ্যে আট দিন রোগীকে ICU-তে রাখতে হয়েছিল । যদিও রোগীকে বাঁচানো যায়নি । এদিকে, 15 দিনে চিকিৎসার খরচ হিসাবে 13 লাখ টাকা বিল করা হয়েছে । এর মধ্যে 10 লাখ টাকা জমা দেন পরিজনরা । বাকি প্রায় 3 লাখ টাকা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় । এই বিলের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয় । যার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে মামলা ।
কমিশন জানিয়েছে, ওই 3 লাখ টাকার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে বেশি চার্জ করা হয়েছে । যে কারণে, বেসরকারি হাসপাতালকে তিন লাখ টাকা ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয় । রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন জাস্টিস (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক । প্রথমে বেসরকারি ওই হাসপাতাল এই তিন লাখ টাকা ছাড় দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত, দেড় লাখ টাকা ছাড় দিয়েছে । বাকি দেড় লাখ টাকার জন্য এই মামলা জারি থাকবে । এই দেড় লাখ টাকার বিষয়ে ওই হাসপাতালকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে ।"
অন্য একটি ঘটনায়, এক কোরোনা রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে । কমিশন জানিয়েছে, মিন্টোপার্কের কাছে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে 14 দিন ধরে এক কোরোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য 3 লাখ 78 হাজার টাকা বিল করা হয়েছে । রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন জাস্টিস (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গুরুতর অভিযোগ । রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের এক চিকিৎসক আলাদাভাবে এক লাখ টাকা চেয়েছেন । ওই বেসরকারি হাসপাতালকে এই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে ।"
কোরোনা রোগীর চিকিৎসায় আলাদাভাবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ, হলফনামা চাইল কমিশন
অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ উঠেছে ঢাকুরিয়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ।
কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর : একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার খরচ হিসাবে অতিরিক্ত বিল করার অভিযোগ উঠল । অন্য একটি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোরোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য আলাদা করে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়ার অভিযোগ । এমনই দু'টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)-এ। এই দুই পৃথক অভিযোগের ঘটনায়, ওই দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হলফনামা পেশ করতে বলল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন ।
অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ উঠেছে ঢাকুরিয়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে । কমিশন জানিয়েছে, ঢাকুরিয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে 15 দিন এক রোগীকে রাখা হয়েছিল । এর মধ্যে আট দিন রোগীকে ICU-তে রাখতে হয়েছিল । যদিও রোগীকে বাঁচানো যায়নি । এদিকে, 15 দিনে চিকিৎসার খরচ হিসাবে 13 লাখ টাকা বিল করা হয়েছে । এর মধ্যে 10 লাখ টাকা জমা দেন পরিজনরা । বাকি প্রায় 3 লাখ টাকা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় । এই বিলের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয় । যার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে মামলা ।
কমিশন জানিয়েছে, ওই 3 লাখ টাকার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে বেশি চার্জ করা হয়েছে । যে কারণে, বেসরকারি হাসপাতালকে তিন লাখ টাকা ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয় । রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন জাস্টিস (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক । প্রথমে বেসরকারি ওই হাসপাতাল এই তিন লাখ টাকা ছাড় দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত, দেড় লাখ টাকা ছাড় দিয়েছে । বাকি দেড় লাখ টাকার জন্য এই মামলা জারি থাকবে । এই দেড় লাখ টাকার বিষয়ে ওই হাসপাতালকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে ।"
অন্য একটি ঘটনায়, এক কোরোনা রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে । কমিশন জানিয়েছে, মিন্টোপার্কের কাছে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে 14 দিন ধরে এক কোরোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য 3 লাখ 78 হাজার টাকা বিল করা হয়েছে । রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন জাস্টিস (অবসরপ্রাপ্ত) অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গুরুতর অভিযোগ । রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের এক চিকিৎসক আলাদাভাবে এক লাখ টাকা চেয়েছেন । ওই বেসরকারি হাসপাতালকে এই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে ।"