কলকাতা, 11 জুলাই: এবার থানার বাইরে ও আশপাশের এলাকায় পড়ে থাকা গাড়ি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ লালবাজারের ৷ একসপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক গার্ডের ওসিদের এই তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ উত্তর খথেকে শুরু করে মধ্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকা এবং দক্ষিণ কলকাতার কসবা, বালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, টালিগঞ্জ-সহ অভিজাত এলাকার একাধিক জায়গায় রাস্তায় পড়ে থাকা পরিত্যক্ত গাড়ির সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে ওসিদের ৷
লালবাজার সূত্রের খবর, সমস্ত বিষয়টি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে । কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতা এবং মধ্য কলকাতার একাধিক জায়গা, অলিতে গলিতে শাড়ি বদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় গাড়ি ও বাইক। সেগুলি দীর্ঘদিন ধরে ওই অবস্থায় পড়ে থাকার ফলে কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে জঞ্জালে পরিণত হয়েছে । বিভিন্ন রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি পড়ে থাকার ফলে বেআইনি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবসাও চলছে ।
এই সমস্ত ব্যবসা বন্ধ করতেই শহরের 25টি ট্রাফিক গার্ডের অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জদের এই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই সম্পর্তিক তথ্য অফিসার ইনচার্জরা পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারদের । অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনাররা এই রিপোর্ট ভালোভাবে খতিয়ে দেখে তা পাঠাবেন নিজস্ব ডিসি ট্রাফিক এবং জয়েন্ট সিপি ট্রাফিককে । জয়েন্ট সিপি ট্রাফিকের তরফ থেকে সেই রিপোর্ট জমা পড়বে কলকাতা পুলিশের নগরপালের কাছে ।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানাকে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ 15 হাজার টাকা দেবে লালবাজার
প্রসঙ্গত, একটা সময় ছিল যখন কলকাতা পুলিশের থানার মালখানার কথা মনে পড়লেই একগাদা ভাঙাচোরা জিনিস পত্রের ছবি চোখে ভেসে উঠত ৷ থানার বাইরে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আসবাবপত্র, গাড়ির টায়ার, থেকে শুরু করে গাড়ি শহরের দৃশ্যদূষণ করে ৷ শুধু তাই নয়, মশার লার্ভা মিলেছিল এই সমস্ত ফলে দেওায়া জিনিসে জমা জল থেকে ৷ বলা যায় মশার লার্ভা জন্মানোর আদর্শ স্থান ছিল এই সমস্ত জায়গাগুলি ৷
কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন নগর পাল সৌমেন মিত্রর এই সমস্ত কিছু পরিবর্তন করেছিলেন ৷ তাঁর হাত ধরে সেজে উঠেছিল কলকাতা পুলিশের মালখানা ৷ সেখান থেকে এসব সরিয়ে থানার মালখানা পরিষ্কার করা এবং সমস্ত কিছু ডিজিটাল ব্যবস্থা মাধ্যমে মালখানাকে গড়ে তোলা হয়েছিল । কিন্তু তার অবসরের পরে ধীরে ধীরে ফের পুরনো মালখানার চেহারা ফিরে আসে ।