ETV Bharat / state

Panchayat Elections 2023: প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক, সর্বদলীয় বৈঠকের পরে দাবি সবপক্ষের

মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠকের পর সব রাজনৈতিক পক্ষ প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন ৷ তবে তৃণমূলের তরফে গোলমাল নিয়ে বিরোধীদের উপর দায় চাপানো হয়েছে ৷ অন্যদিকে বিরোধীরা শান্তিপূর্ণ ভোট করানো নিয়ে কমিশনের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷

Panchayat Elections 2023
Panchayat Elections 2023
author img

By

Published : Jun 13, 2023, 8:01 PM IST

Updated : Jun 13, 2023, 9:08 PM IST

সর্বদলীয় বৈঠকের পরে দাবি সবপক্ষের

কলকাতা, 13 জুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার অবশেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বসেছিল সর্বদলীয় বৈঠক । সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ৷ তৃণমূলের দাবি, তারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক ৷ বিজেপি মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ৷ অন্যদিকে কংগ্রেসের আশঙ্কা যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা না হয়, তাহলে 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে পারে ৷ আর সিপিএমের বক্তব্য, গণতন্ত্রকে হত্যার উৎসব শুরু হয়েছে ৷ তবে সবপক্ষই চায় ভোটে প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক ৷

এ দিনের বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । বিজেপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া । কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কৌস্তব বাগচী, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় ও অসিত মিত্র । সিপিএমের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শমীক লাহিড়ী ও পলাশ দাস ।

অরূপ বিশ্বাস জানান যে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার মাধ্যমে সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে । ইচ্ছাকৃতভাবে ঝামেলা করছে বিরোধী পক্ষ । তিনি বলেন, "আমরা চাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক । বিরোধী দল অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশাসনকে ছোট করতে চাইছে । আদালতের মতামত ও রায় নিয়ে কিছু বলব না, ওটা কমিশন বলবে ।"

বিজেপির পক্ষ থেকে শমীক ভট্টাচার্য জানান যে বিজেপির একটি রাজনৈতিক দল । তাই আদালত কী বলল ও রাজ্যপাল কী বলছেন, সেটা না দেখে মানুষের কী হচ্ছে সেটা দেখে বিজেপি । বিজেপির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে দলের অবস্থান কমিশনকে জানানো হয়েছে । এই সর্বদল বৈঠক অনেক আগেই করা উচিত ছিল । বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না । বিজেপির পক্ষ থেকে যারা মনোনয়ন দিতে গিয়েছিলেন, তাঁরা ঠিকঠাক মনোনয়ন দিতে পারেনি । মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সন্ত্রাস চলছে, তা নিয়েও কমিশনকে জানানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে 7 স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘নিরাপত্তার বিষয় সুনিশ্চিত করার বিষয় কী ভাবছে কমিশন, সেটাই স্পষ্ট করা হয়নি । এই সর্বদলীয় বৈঠকে কমিশনের অবস্থান থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখানে কোনও স্বাভাবিক সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় । তবে তাও আমরা বলছি লড়াই হবে ৷ একতরফা নির্বাচন হবে না । কিন্তু যাঁদের জন্য নির্বাচন, তাঁদের সুরক্ষা ভোটারদের সুরক্ষা কীভাবে করা যাবে সে বিষয়ে আমরা কোনও বার্তা পাইনি । পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি । নির্বাচন কয়েক দফায় করাতে হবে ৷ সম্ভব নয় এক দফায় । একজন অবজারভারের পক্ষে একটি ব্লকে গিয়ে সবটা দেখা সম্ভব নয় । আমরা এত কিছু বলার পরেও বুঝলাম নির্বাচন কমিশন স্থির করে ফেলেছে কীভাবে নির্বাচন করা হবে ।’’

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কৌস্তব বাগচী জানান যে জাতীয় কংগ্রেস শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দাবি । কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে । হিংসা বেড়ে চলেছে একাধিক নজির আছে । কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি টাকাও চাওয়া হবে না । তাই এর পরেও যদি বাহিনী মোতায়েন না করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে রাজ্য সরকারের কোনও অভিসন্ধি রয়েছে ।

তিনি আরও জানান, সাত লাখের উপর মনোনয়ন বাকি । তাই দিন ও সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস । তবে এই বিষয়টি কমিশনের উপরই ছাড়া হয়েছে । আর যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা না হয়, তাহলে 2018 সালের পুনরাবৃত্তি হবে আবার । সর্বত্র কংগ্রেস কর্মীরা অত্যাচারিত হচ্ছে ।

সিপিএমের পক্ষ থেকে শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘‘এরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় না । তার কারণ যারা 403টি মনোনয়ন কেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা কীভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্য পুলিশ দিয়ে করাবে । এখনও পর্যন্ত 50 হাজার মনোননয়ন হয়নি ৷ আগামী 12 ঘণ্টাও বাকি নেই । মনোনয়ন কীভাবে হবে? কোথাও কখনো শুনেছেন একটা রাজনৈতিক দল 96 শতাংশ ভোটে জিতেছে । বুথগুলিতে কে সুরক্ষা দেবে ? 46 হাজার লাঠিধারী পুলিশ দিয়ে কীভাবে সম্ভব ? নির্বাচনকে যুদ্ধে পরিণত করেছে । এটা গণতন্ত্রের হত্যার উৎসব চলছে ।’’

আরও পড়ুন: মনোনয়ন জমার সময়সীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, রায় হাইকোর্টের

সর্বদলীয় বৈঠকের পরে দাবি সবপক্ষের

কলকাতা, 13 জুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার অবশেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বসেছিল সর্বদলীয় বৈঠক । সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ৷ তৃণমূলের দাবি, তারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক ৷ বিজেপি মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ৷ অন্যদিকে কংগ্রেসের আশঙ্কা যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা না হয়, তাহলে 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে পারে ৷ আর সিপিএমের বক্তব্য, গণতন্ত্রকে হত্যার উৎসব শুরু হয়েছে ৷ তবে সবপক্ষই চায় ভোটে প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক ৷

এ দিনের বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । বিজেপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া । কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কৌস্তব বাগচী, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় ও অসিত মিত্র । সিপিএমের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শমীক লাহিড়ী ও পলাশ দাস ।

অরূপ বিশ্বাস জানান যে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার মাধ্যমে সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে । ইচ্ছাকৃতভাবে ঝামেলা করছে বিরোধী পক্ষ । তিনি বলেন, "আমরা চাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক । বিরোধী দল অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশাসনকে ছোট করতে চাইছে । আদালতের মতামত ও রায় নিয়ে কিছু বলব না, ওটা কমিশন বলবে ।"

বিজেপির পক্ষ থেকে শমীক ভট্টাচার্য জানান যে বিজেপির একটি রাজনৈতিক দল । তাই আদালত কী বলল ও রাজ্যপাল কী বলছেন, সেটা না দেখে মানুষের কী হচ্ছে সেটা দেখে বিজেপি । বিজেপির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে দলের অবস্থান কমিশনকে জানানো হয়েছে । এই সর্বদল বৈঠক অনেক আগেই করা উচিত ছিল । বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না । বিজেপির পক্ষ থেকে যারা মনোনয়ন দিতে গিয়েছিলেন, তাঁরা ঠিকঠাক মনোনয়ন দিতে পারেনি । মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সন্ত্রাস চলছে, তা নিয়েও কমিশনকে জানানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে 7 স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘নিরাপত্তার বিষয় সুনিশ্চিত করার বিষয় কী ভাবছে কমিশন, সেটাই স্পষ্ট করা হয়নি । এই সর্বদলীয় বৈঠকে কমিশনের অবস্থান থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখানে কোনও স্বাভাবিক সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় । তবে তাও আমরা বলছি লড়াই হবে ৷ একতরফা নির্বাচন হবে না । কিন্তু যাঁদের জন্য নির্বাচন, তাঁদের সুরক্ষা ভোটারদের সুরক্ষা কীভাবে করা যাবে সে বিষয়ে আমরা কোনও বার্তা পাইনি । পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি । নির্বাচন কয়েক দফায় করাতে হবে ৷ সম্ভব নয় এক দফায় । একজন অবজারভারের পক্ষে একটি ব্লকে গিয়ে সবটা দেখা সম্ভব নয় । আমরা এত কিছু বলার পরেও বুঝলাম নির্বাচন কমিশন স্থির করে ফেলেছে কীভাবে নির্বাচন করা হবে ।’’

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কৌস্তব বাগচী জানান যে জাতীয় কংগ্রেস শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দাবি । কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে । হিংসা বেড়ে চলেছে একাধিক নজির আছে । কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি টাকাও চাওয়া হবে না । তাই এর পরেও যদি বাহিনী মোতায়েন না করা হয়, তাহলে বুঝতে হবে রাজ্য সরকারের কোনও অভিসন্ধি রয়েছে ।

তিনি আরও জানান, সাত লাখের উপর মনোনয়ন বাকি । তাই দিন ও সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস । তবে এই বিষয়টি কমিশনের উপরই ছাড়া হয়েছে । আর যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা না হয়, তাহলে 2018 সালের পুনরাবৃত্তি হবে আবার । সর্বত্র কংগ্রেস কর্মীরা অত্যাচারিত হচ্ছে ।

সিপিএমের পক্ষ থেকে শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘‘এরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় না । তার কারণ যারা 403টি মনোনয়ন কেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা কীভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্য পুলিশ দিয়ে করাবে । এখনও পর্যন্ত 50 হাজার মনোননয়ন হয়নি ৷ আগামী 12 ঘণ্টাও বাকি নেই । মনোনয়ন কীভাবে হবে? কোথাও কখনো শুনেছেন একটা রাজনৈতিক দল 96 শতাংশ ভোটে জিতেছে । বুথগুলিতে কে সুরক্ষা দেবে ? 46 হাজার লাঠিধারী পুলিশ দিয়ে কীভাবে সম্ভব ? নির্বাচনকে যুদ্ধে পরিণত করেছে । এটা গণতন্ত্রের হত্যার উৎসব চলছে ।’’

আরও পড়ুন: মনোনয়ন জমার সময়সীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, রায় হাইকোর্টের

Last Updated : Jun 13, 2023, 9:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.