কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি : শুভেন্দু অধিকারী নাকি তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন ৷ এমনই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ ইডি, সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু এখন ভিতরের গণ্ডগোল বুঝে একদিকে গেরুয়া শিবিরের ভিতরে অতিবিপ্লবী ভাব দেখাচ্ছেন, অন্যদিকে মাঝে মাঝে তৃণমূলের দরজায় ঠক ঠক করছেন ৷ যদি ফেরা যায়... (AITC Spokesperson Kunal Ghosh claims Suvendu Adhikari wish to return in TMC) ৷
বাইশের পৌরনির্বাচনে (Bengal Civic Polls 2022) কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের কেউ প্রার্থী হননি ৷ এ নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে ৷ এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানান, এবার তৃণমূল কংগ্রেস কাঁথি পৌরসভা থেকে অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকে টিকিট দেয়নি ৷ তাঁদের পরিবারে বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী সব রয়েছে ৷ টিকিট না পাওয়াটা অধিকারী পরিবারের কাছে বড় ধাক্কা ৷
বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারীর দম বন্ধ লাগছে ৷ অনেকেই জানেন তিনি ভালোবেসে বিজেপিতে যাননি ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে রেহাই পেতে পদ্মফুলে আশ্রয় নিয়েছেন, জানান রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের মত, গেরুয়া শিবির আদি বিজেপি ও তৎকাল বিজেপি, দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে ৷ এই দুই শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়াটা স্বাভাবিক ৷ বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কে হবেন, শুভেন্দু অধিকারী নাকি শান্তনু ঠাকুর ? এ নিয়ে পদ্মশিবিরের মধ্যে ঝামেলা চলছে ৷ এক্ষেত্রে তিনি জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মধ্যে মানসিক দূরত্বের কথা উল্লেখ করেন ৷ তবে জানান এই দূরত্ব সত্ত্বেও তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন এবং সিপিএমও বহুদিন টিকে ছিল ৷
শুভেন্দু এদিন শিলিগুড়িতে প্রচারে গিয়েছেন ৷ কুণালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, "চোর-গুন্ডাদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না ৷"
আরও পড়ুন : BJP Poster Controversy : তৃণমূলকে জেতাতে আদি বিজেপির নামে পোস্টার শিলিগুড়িতে
তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে অবশ্য এমন অবস্থা নেই ৷ কারণ সবার উপরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারপর সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এরপরে তৃণমূলের সব নেতা, কর্মীরা, সাফ জানিয়ে দেন ঘাসফুল মুখপাত্র ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'এক ব্যক্তি, এক পদ' নীতি নিয়ে দলে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে ? এ প্রশ্নে তিনি ঘাসফুলের গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার স্বতন্ত্র ফরম্যাটের কথা জানান ৷ দলে গণতান্ত্রিকতা আছে ৷ কারও কিছু ভালো মনে হলে, সে তাঁর যুক্তি দিয়ে বিষয়টি বলতেই পারেন ৷ কিন্তু শেষমেশ দলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার চূড়ান্ত প্রয়োগ হবে, ঘাসফুলের নীতি জানালেন কুণাল ৷
তৃণমূল কংগ্রেস এখন বড় দলে পরিণত হয়েছে, তাই অনেকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোটে প্রার্থী হতে চাইছেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেস ও সিপিএম-এর অবস্থার কথা উল্লেখ করেন ৷ এই দুই দলকে এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে জিজ্ঞেস করতে হচ্ছে, কেউ দলের হয়ে ভোটে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক কি না ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা তেমন নয় ৷ কিন্তু একজনকেই প্রার্থী করা সম্ভব, তাই বাকিদের অসন্তোষ হতে পারে, জানালেন কুণাল ঘোষ ৷
আরও পড়ুন : Ladies Toilet : নির্বাচনী ইস্তাহার বাস্তবায়ন, কলকাতা পৌরনিগমের প্রতি ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য শৌচালয়