কলকাতা, 24 অগস্ট: রাষ্ট্রীয় পরিবহণ শিল্পের একাধিক অনিয়ম নিয়ে সরব বামপন্থী কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এআইসিসিটিইউ (All India Central Council of Trade Unions)-এর পরিবহণ শ্রমিক সংগঠন । নেতা-মন্ত্রী-আমলাদের দুর্নীতিতে সিআইডি তদন্ত ও কর্তৃপক্ষের শ্রম আইন বিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়েকে চিঠি দেয় সংগঠন ।
পরিবহণ ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বুধবার ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশে সংগঠনের পক্ষ থেকে সভা করা হয় । তাদের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী পরিবহণ মন্ত্রী থাকাকালীন ট্রাম কোম্পানির প্রায় সাড়ে চারশো কাঠা জমি আড়াইশো কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয় । আর সেই অর্থের কোনও হদিশ মেলেনি ।
এআইসিসিটিইউ-এর রাজ্য সম্পাদক দিবাকর ভট্টাচার্য বলেন, "কথা ছিল যে জমি বিক্রির অর্থ এই আড়াইশো কোটি টাকা পরিবহণ শিল্পের উন্নয়নের খাতেই ব্যবহার করা হবে । কিন্তু তেমনটা হয়নি । সেই টাকা তবে কোন খাতে ব্যবহার করা হল তা নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে । তাই এই জমি হস্তান্তর এবং টাকা লেনদেনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে আমরা মনে করছি । এ বিষয়ে সিআইডি দিয়ে তদন্ত করতে হবে ।"
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারী রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাননি, সম্পদ বৃদ্ধির প্রশ্নে জবাব সুকান্তর
এছাড়াও তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হল, ভুয়ো এজেন্সি মারফত হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে, তার প্রশাসনিক তদন্ত করতে হবে । এছাড়াও রাজ্য শ্রম দফতরের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী 14 জন কর্মীকে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাজ্য শ্রম দফতরের নির্দেশ অমান্যকারী কর্তৃপক্ষকে শাস্তি দিতে হবে । প্রায় 3 শতাধিক বেআইনিভাবে ছাঁটাই কর্মীকে অবিলম্বে কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে । অবসরপ্রাপ্ত সকল কর্মীদের বকেয়া টাকা, গ্র্যাচুইটি ও পেনশন দিতে হবে ।
দিবাকরবাবু আরও জানান, তাদের দীর্ঘদিনের এই দাবিদাওয়া নিয়ে তারা প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন । তিনি ওই 14 জন কর্মীকে পুনর্বহালের প্রতিশ্রুতিও দেন । তবে পরবর্তীতে সেই প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায় । তাই নয়া পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে এই সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুতই বৈঠক করবেন বলে তাদের আশ্বাস দিয়েছেন ।