কলকাতা, 5 অক্টোবর: টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত রাজ্যের একাধিক জেলা । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যে ফিরেই দুই মন্ত্রীকে উত্তরবঙ্গে যেতে । পাশাপাশি কলকাতা-সহ টানা বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গেও ৷ আর এহেন পরিস্থিতিতে কলকাতার হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে বুধবার দিল্লি থেকে ফিরে সোজা কর্পোরেশনের কন্ট্রোল রুমে গেলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে মহানগরে। তবে জল কিছু অংশে জমলেও সেটা দ্রুত নেমেও যাচ্ছে । কিন্তু আগামী ক'দিনও বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। ফলে সেই বৃষ্টিতে যাতে নাগরিকদের কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকেই নজর কলকাতা কর্পোরেশনের। তাই জরুরি ভিত্তিতে কর্পোরেশনের আধুনিক সুবিধাযুক্ত কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে কর্পোরেশনের নিকাশি বিভাগ থেকে শুরু করে কলকাতা পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা যৌথভাবে কাজ করছেন ।
ট্রাফিক পুলিশের সিসিটিভির সাহায্যে বড় রাস্তা থেকে ছোট রাস্তা, গলির মোড়ে জমা জলের পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে । নিকাশি বিভাগের সঙ্গেই প্রস্তুত আছে জঞ্জাল সাফাই ও উদ্যান বিভাগ। সেই সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে দিল্লির দলীয় কর্মসূচি শেষে সোজা বিমান ধরে কলকাতায় । তারপর বাড়ি না গিয়ে প্রথমেই কলকাতা কর্পোরেশনের কন্ট্রোল রুমে হাজির হলেন মেয়র।
এদিন তিনি বলেন, "এখনও দু'তিনদিন আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ থাকবে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আমরাও প্রস্তুত। পাম্পিং স্টেশনগুলো ঠিক করে চালানো হবে। খুব বৃষ্টি হলে দু'তিন ঘণ্টা জল জমছে আর জোয়ারের সময় হলে আরও কিছু বেশি সময় জল থাকছে তারপর নেমে যাচ্ছে। নিকাশি থেকে পলি তোলা ও খাল সংস্কার ভালো হওয়াতেই দ্রুত জল নামছে। দিল্লি থেকেও খোঁজ রাখছিলাম। নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য তারক সিং আমাকে পরিস্থিতি জানাচ্ছিলেন। কেইআইআইপি যেখানে যেখানে কাজ করছে সেখানে শুধু একটু অসুবিধা হচ্ছে। পরের বার সেটাও আর হবে না।"
আরও পড়ুন : সিকিমের বিপর্যয়ে নড়চড়ে বসল রাজ্যের সেচ দফতর, জলপাইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত তিস্তা বাঁধ সংস্কার