কলকাতা, 25 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর সৌরভ চৌধুরী 'জেইউএমএইচ' নামে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ বানিয়েছিল। আর সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই যুক্ত করানো হয়েছিল বিভিন্ন ছাত্রদের। পরে অবশ্য সেই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপটি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছিল বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
সংশ্লিষ্ট হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে থাকা বেশ কিছু ছাত্রের ইতিমধ্যেই খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় মূলত সাক্ষ্য হিসাবে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে ডেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে ৷ তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের এডমিন তার এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাননি তদন্তকারীরা। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের এডমিনের খোঁজ পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তদন্তভার গ্রহণ করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা। নেওয়া হচ্ছে একাধিক প্রযুক্তির সাহায্যও।
অন্যদিকে, শুক্রবার আলিপুর পুলিশ আদালতে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, 'পিক এন্ড চুজ' করে ওই ছাত্রকে মারা হয়েছে। এই ঘটনায় লালবাজার সূত্রের খবর, নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর সৌরভ চৌধুরীর কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশকে সৌরভ জানায়, ওই ছাত্রের সঙ্গে কোনও ব়্যাগিং হয়নি ৷ তবে তার চোখের সামনে ওই ছাত্র ঝাপ দিয়েছিল। কিন্তু কেন ওই ছাত্র আতঙ্কে ঝাপ দিতে গেল সেই উত্তরটাই খুঁজে বের করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: উদ্ধার রক্তমাখা গামছা-মোবাইল, যাদবপুরকাণ্ডে ফের জেল হেফাজতে সৌরভ
গত 9 তারিখ যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মেইন হস্টেলের নীচে বাংলা অনার্সের এক পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কে পি সি হাসপাতালে। সেদিন ভোররাতেই তার মৃত্যু হয়। সেই রাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মেইন হস্টেলের একটি মাঠে চার বার জেনারেল বডি মিটিং করেছিল ধৃত সৌরভ চৌধুরী। এই ঘটনায় সৌরভ-সহ মোট 13 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন পুলিশ তদন্ত করতে আসলে তাদের কীভাবে তদন্তে বাধা দান করা হবে তার বার্তা ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে দেওয়া হয়েছিল সৌরভের ফোন থেকে। কিন্তু সৌরভের ফোন থেকে সৌরভ নিজেই ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ করেছিল নাকি অন্য কোনও ছাত্র সৌরভের ফোন থেকে সেই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিল তার উত্তর এখনও অজানা তদন্তকারীদের কাছে।