কলকাতা, 11 নভেম্বর : বুধবার কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রীর ঘটপুজোর শোভাযাত্রার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে চলছিল বিক্ষোভ ৷ সেখানেই আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মৃত্যু হয় বছর সাতের এক বালকের ৷ অ্যাম্বুলেন্সটি মালদা থেকে কৃষ্ণনগর হয় কলকাতাগামী যাচ্ছিল । এই ঘটনা কি কোথাও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় না ? কেন অ্যাম্বুলেন্সে মূমুর্ষু রোগী থাকা সত্ত্বেও কোনও পুলিশকর্মী এসে সেই অ্যাম্বুলেন্সকে যাওয়ার রাস্তা করে দিল না ? এই ঘটনার পর উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷
এই ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় তাই কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্রের নির্দেশে রাস্তায় দেখা গেল তিনজন কর্তব্যরত সার্জেন্টকে ৷ এদিন পঁচিশটি ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসার ইনচার্জ সৌমেন মিত্রের নির্দেশ মতো রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স বা এমারজেন্সি কোনও গাড়ি দেখলে তা ছেড়ে দিতে দেখা গেল কর্তব্যরত সার্জেন্টদের ৷
রাস্তায় থাকা ট্র্যাফিক পুলিশ জানালেন, বাইপাস সংলগ্ন রাস্তায় বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৷ তাই এই রাস্তা দিয়ে প্রায় সময়ই অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হয় । কোনও অ্যাম্বুলেন্স যাতে ট্র্যাফিক সিগন্যালে, যানজটে পড়ে আটকে না থাকে তার জন্য তৎপর রয়েছে তিলজলা ট্র্যাফিক পুলিশ ৷
কৃষ্ণনগরের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই যখন প্রশ্নের মুখে ট্র্যাফিক পুলিশ, তখনই তড়িঘড়ি কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের এই তৎপরতা চোখে পড়ল তিলজলায় ৷
আরও পড়ুন : Krishnanagar Child Death : ঘটপুজোর শোভাযাত্রার দাবিতে বিক্ষোভ, অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু বালকের