কলকাতা, 31 মে: রাজ্য নির্বাচন কমিশন আপাতত অভিভাবকহীন । এর দায় রাজভবনের উপর চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না হওয়ার সম্পূর্ণ দায় মুখ্যমন্ত্রীর উপরেই চাপালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী । তাঁর দাবি, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন না ভোট হোক । তিনি চাইছেন, অচলাবস্থা তৈরি হোক । যাতে ভোট করতে না হয় সে জন্য দেরি করছেন তিনি । সাগরদিঘি ভোটের পর খোকাবাবু বেরিয়ে পরেছেন । খোকাবাবু বলছেন, নবজোয়ার শেষে ভোট হবে । ও কীসের ভিত্তিতে বলছে ?"
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের তরফে যে নাম রাজভবনে পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷ প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার-সহ বর্তমান প্রস্তাবিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকেও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন তিনি । এই প্রস্তাবিত নামের মধ্যে কেউ যদি নির্বাচন কমিশনার হন, তাহলে আগামী পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে হবে না বলেও আশংকা প্রকাশ করেন তিনি । অধীরের কথায়, "আগে ক্রীতদাস ছিল । পরে কী হবে জানি না । ক্রীতদাসের প্রতিযোগিতা হয় । যে যত বড় ক্রীতদাস সে-ই প্রথম স্থান পাবে ।"
অধীর এই নিয়ে আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে চাইছেন না পঞ্চায়েত ভোট হোক । কারণ এই পঞ্চায়েত নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু চুরি দুর্নীতির খবর রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ৷ তারা আর তৃণমূলকে চাইছে না ৷ যার অন্যতম প্রমাণ সাগরদিঘি নির্বাচন । তাই যে কোনও প্রকারে মমতা ভোট না করার কথা ভাবছেন বলে অভিযোগ অধীরের ।
একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অধীর আজ বলেন, "ভাইপো কে, যে তিনি রাজ্যের নির্বাচন কবে হবে না হবে ঠিক করবেন ? ভাইপো কি মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ? যে তাঁর নবজোয়ার শেষ হলে তারপরে ভোট হবে ?"
আরও পড়ুন: এরকম ঘটনা আগে কখনও হয়নি, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ফাইল রাজভবনে আটকে থাকায় ক্ষুব্ধ মমতা