কলকাতা, 21 মে: দেশের দক্ষিণে কংগ্রেসের জয়ে উজ্জীবিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস ৷ 2023 সালের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে 135টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস ৷ শনিবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছে কংগ্রেস ৷ তার রেশ পৌঁছেছে বঙ্গে ৷ বিজেপির বিকল্প একমাত্র কংগ্রেস ৷ এই বার্তা দিতে আগামী 15 জুন কেন্দ্রীয় জমায়েতের ডাক দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস ৷ গত বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলার সভাপতিকে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য কার্যালয় বিধান ভবনে ডাকা হয় । সেখানে এই জমায়েতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, "বিজেপির মতো 'সাম্প্রদায়িক' দলের বিরুদ্ধে একমাত্র কংগ্রেসই জয়লাভ করতে পারে ৷ পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে সেই লড়াই করতে চায় কংগ্রেস ৷" তাঁর দাবি, আগামিদিনে এই পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূলকে পরাজিত করে কংগ্রেস বিকল্প শক্তি হয়ে উঠতে চলেছে ৷ 15 জুন সারা বাংলা থেকে মানুষ জমায়েতে যোগ দিতে আসবে বলে জানিয়েছেন অধীর ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সভার নাম 'জাগরণ সভা' ৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষকে জাগাতে এই সভার আয়োজন ৷ ইতিমধ্যে, প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সংশ্লিষ্ট দফতর ও পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে ৷ প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ৷ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের বহু নেতাও থাকবেন ৷
এই শহিদ মিনার চলো অভিযান সফল করার আগে একমাস ধরে প্রচার চালাবে কংগ্রেস ৷ কংগ্রেস যে গেরুয়া শিবিরের পতন করতে পারে, কর্ণাটকের নির্বাচন তার জ্বলন্ত উদাহরণ ৷ অধীর বলেন, "কর্ণাটক 40 শতাংশের সরকার হলে, বাংলার কংগ্রেস দুর্নীতির শিখরে পৌঁছেছে ৷"
13 মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয় ৷ সেদিনই অধীর চৌধুরী দাবি করেছিলেন, 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হারাতে একমাত্র বিকল্প কংগ্রেস ৷ বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট ৷ সেখানে কংগ্রেস কি সিপিএমের সঙ্গে জোট বাঁধবে, এ নিয়ে এখনও কোনও ইঙ্গিত মেলেনি ৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধার ইঙ্গিত দেননি ৷
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের নেতৃত্বেই লোকসভায় বিজেপিকে হারানো সম্ভব, কর্ণাটকে জয়ের পর দাবি অধীরের