ETV Bharat / state

দু'মাসে কলকাতায় অ্যাডিনোভাইরাসে মৃত ১০ - undefined

গত দু'মাসে কলকাতায় অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Mar 15, 2019, 5:35 AM IST

কলকাতা, ১৫ মার্চ : গত দু'মাসে কলকাতায় অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত তিন মাসে পার্কসার্কাসের বেসরকারি একটি হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ থেকে ৬৫ জন শিশুর খোঁজ মিলেছে। এই হাসপাতালে বর্তমানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১২ জন শিশুর চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এদের মধ্যে ৩ জন ভেন্টিলেশনে রয়েছে।

কিন্তু, এমন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে কেন এই ভাইরাস? এবিষয়ে পরজীবী বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী বলেন, "রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি কলকাতায় এখন হয়েছে। সেই জন্য এই বছর এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ধরা পড়ছে। না হলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বরাবর-ই হয়।" চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাতাসে থাকে এই ভাইরাস। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে। চিকিৎসক প্রভাস প্রসূন গিরি বলেন, "এই ভাইরাসে সংক্রমণের জেরে স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি-কাশি হবে। কিন্তু এই বছর সেই হিসেবে অনেকেরই কমছে না। ১০ জনের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করেছে। তার মধ্যে ৩-৪ জনের অবস্থা জটিল। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, নিউমোনিয়া হচ্ছে, ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণও ঘটছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।"

পার্কসার্কাসের বেসরকারি ওই হাসপাতালের এই চিকিৎসক বলেন, "গত দুই মাসে কলকাতায় কম করে ১০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।" একই সঙ্গে তিনি বলেন,"গত বছরের শেষের দিক থেকে এই রোগ নির্ণয় শুরু হয়েছে। গত বছর এইরোগের প্রকোপ এতটা ভয়াবহ ছিল না। রোগ প্রতিরোধের কোনও উপায় এখনও জানা নেই। ওষুধও নেই। রোগ নির্ণয় হলে অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও প্রয়োজনে ভেন্টিলেশনে দিতে হচ্ছে।"

কীভাবে বোঝা যাবে এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি, কোনও উপসর্গ আছে কি? উত্তরে চিকিৎসক বলেন, "প্রথমে স্বাভাবিক সর্দি-কাশি-জ্বর হয়। তার পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।" সাবধানতা অবলম্বনের উপায়? এর উত্তরে তিনি বলেন, "এই ভাইরাসে যে আক্রান্ত হয়েছে, তার থেকে অন্যদের দূরে রাখা ছাড়া সাবধানতা বলতে আর কিছু নেই।" এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী বলেন, "এই ভাইরাস ছোঁয়াচে তাই প্রতিরোধ খুব কঠিন।" ছোটো থেকে বড়, যে কোনও বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। একথা জানিয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, "ছোটরা এখানে-ওখানে হাত দেয়, অরক্ষিত থাকে। সেজন্য তারা বেশি আক্রান্ত হয়।" ছোটো এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কম। এজন্য ছোটো এবং বয়স্করা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেও তিনি জানান।

কলকাতা, ১৫ মার্চ : গত দু'মাসে কলকাতায় অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত তিন মাসে পার্কসার্কাসের বেসরকারি একটি হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ থেকে ৬৫ জন শিশুর খোঁজ মিলেছে। এই হাসপাতালে বর্তমানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১২ জন শিশুর চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এদের মধ্যে ৩ জন ভেন্টিলেশনে রয়েছে।

কিন্তু, এমন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে কেন এই ভাইরাস? এবিষয়ে পরজীবী বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী বলেন, "রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি কলকাতায় এখন হয়েছে। সেই জন্য এই বছর এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ধরা পড়ছে। না হলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বরাবর-ই হয়।" চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাতাসে থাকে এই ভাইরাস। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে। চিকিৎসক প্রভাস প্রসূন গিরি বলেন, "এই ভাইরাসে সংক্রমণের জেরে স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি-কাশি হবে। কিন্তু এই বছর সেই হিসেবে অনেকেরই কমছে না। ১০ জনের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করেছে। তার মধ্যে ৩-৪ জনের অবস্থা জটিল। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, নিউমোনিয়া হচ্ছে, ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণও ঘটছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।"

পার্কসার্কাসের বেসরকারি ওই হাসপাতালের এই চিকিৎসক বলেন, "গত দুই মাসে কলকাতায় কম করে ১০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।" একই সঙ্গে তিনি বলেন,"গত বছরের শেষের দিক থেকে এই রোগ নির্ণয় শুরু হয়েছে। গত বছর এইরোগের প্রকোপ এতটা ভয়াবহ ছিল না। রোগ প্রতিরোধের কোনও উপায় এখনও জানা নেই। ওষুধও নেই। রোগ নির্ণয় হলে অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও প্রয়োজনে ভেন্টিলেশনে দিতে হচ্ছে।"

কীভাবে বোঝা যাবে এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি, কোনও উপসর্গ আছে কি? উত্তরে চিকিৎসক বলেন, "প্রথমে স্বাভাবিক সর্দি-কাশি-জ্বর হয়। তার পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।" সাবধানতা অবলম্বনের উপায়? এর উত্তরে তিনি বলেন, "এই ভাইরাসে যে আক্রান্ত হয়েছে, তার থেকে অন্যদের দূরে রাখা ছাড়া সাবধানতা বলতে আর কিছু নেই।" এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী বলেন, "এই ভাইরাস ছোঁয়াচে তাই প্রতিরোধ খুব কঠিন।" ছোটো থেকে বড়, যে কোনও বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। একথা জানিয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, "ছোটরা এখানে-ওখানে হাত দেয়, অরক্ষিত থাকে। সেজন্য তারা বেশি আক্রান্ত হয়।" ছোটো এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কম। এজন্য ছোটো এবং বয়স্করা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেও তিনি জানান।

Intro:কলকাতা, ১৪ মার্চ: অ্যাডিনোভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্তের কারণে গত দুই মাসে কলকাতায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত তিন মাসে পার্কসার্কাসের বেসরকারি একটি হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০-৬৫টি শিশুর খোঁজ মিলেছে। এই হাসপাতালে বর্তমানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১২টি শিশুর চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ভাইরাস এ বার এমন ভয়াবহ আকার নিলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর রোগ নির্ণয় বেশি হচ্ছে। তাই এমন ভয়াবহ রূপ প্রকাশ্যে আসছে।Body:পার্কসার্কাসের বেসরকারি ওই হাসপাতালের চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূন গিরির কথায়, "আমাদের এই হাসপাতালে গত তিন মাসে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ৬০-৬৫টি শিশুকে আমরা পেয়েছি। বর্তমানে ১২টি শিশুর চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ICU-তে তাদের চিকিৎসা চলছে। এই ৬ জনের মধ্যে তিনটি শিশু ভেন্টিলেশনে রয়েছে।" আক্রান্ত শিশুদের বয়স তিন মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে। এই ভাইরাসে ছোটরা বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স যত কম, তত ভয়ঙ্কর হচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এ কথা জানিয়ে শিশুদের চিকিৎসার জন্য পার্কসার্কাসের ওই হাসপাতালের এই চিকিৎসক বলেন, "আগে খুব একটা আমরা পেতাম না এই ভাইরাসে আক্রান্তদের। রোগ নির্ণয়ও হতো না। গত বছর থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ আমরা পাচ্ছি।"

কিন্তু, এমন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে কেন এ বছর এই ভাইরাস? এ বিষয়ে পরজীবী বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি কলকাতায় এখন রয়েছে। সেই জন্য এই বছর এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ধরা পড়ছে। না হলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বরাবর-ই হয়।" চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাতাসে থাকে এই ভাইরাস। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে এই ভাইরাস। চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূন গিরি বলেন, "এই ভাইরাসে সংক্রমণের জেরে স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি-কাশি হবে, এটা বলা হতো। কিন্তু এই বছর সেই হিসেবে অনেকেরই কমছে না। ১০ জনের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করলে ৩-৪ জনের অবস্থা জটিল হয়ে উঠছে।শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, নিউমোনিয়া হচ্ছে, ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে। সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণও ঘটছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।"

এই ভাইরাসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এবছর চিত্রটা অন্যরকম। এ কথা জানিয়ে পার্কসার্কাসের বেসরকারি ওই হাসপাতালের এই চিকিৎসক বলেন, "গত দুই মাসে এ বছর কলকাতায় কম করে ১০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মারা গিয়েছে। এই ১০ জনের মধ্যে আমাদের হাসপাতালে তিনজন রয়েছে।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "গত বছরের শেষের দিক থেকে রোগ নির্ণয় আমরা শুরু করেছিলাম। গত বছর এতটা ভয়াবহ ছিল না। প্রতিরোধের কোনও উপায় এখনও জানা নেই। ওষুধও নেই।
রোগ নির্ণয় হলে অক্সিজেন, নেবুলাইজার-এর সহায়তা নিতে হচ্ছে। প্রয়োজনে ভেন্টিলেশনে দিতে হচ্ছে।"Conclusion:কীভাবে বোঝা যাবে এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি, কোনও উপসর্গ? এই চিকিৎসক বলেন, "স্বাভাবিক সর্দি-কাশি-জ্বর হয় প্রথমে। তার পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।" কোনও সাবধানতা অবলম্বন? তিনি বলেন, "এই ভাইরাসে যে আক্রান্ত হয়েছে, তার থেকে অন্যদের দূরে রাখা ছাড়া সাবধানতা বলতে আর কিছু নেই।" এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী বলেন, "প্রতিরোধ খুব কঠিন। এই ভাইরাস হাওয়া এবং ছোঁয়াচে।" ছোট থেকে বড়, যে কোনও বয়সের মানুষ-ই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এ কথা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, "ছোটরা এখানে-ওখানে হাত দেয়, অরক্ষিত থাকে। সেজন্য তারা বেশি আক্রান্ত হয়।" ছোট এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কম। এ জন্য ছোট এবং বয়স্করা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

_____________

চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূন গিরির বক্তব্যের ফোন রেকর্ড:
wb_kol_8002_14march_adenovirus_7203421

চিকিৎসক অমিতাভ নন্দীর বক্তব্যের ফোন রেকর্ড:
wb_kol_8003_14march_adenovirus_7203421

_________

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.