ETV Bharat / state

"উনি ডাকাত, কাটমানি খান"; তৃণমূল কাউন্সিলরকে আক্রমণ ওয়ার্ড সভাপতির - স্বপ্না দাসের বিরুদ্ধে পোস্ট

আমি আর ডাকাত পৌরমাতার সঙ্গে নেই । গতকাল কলকাতা পৌরনিগমের 40 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপ্না দাসের বিরুদ্ধে ফেসবুকে এই পোস্ট করেন ওই ওয়ার্ডেরই সভাপতি পার্থ বসু । এরপরই শুরু হয় বিতর্ক ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 3, 2019, 9:08 AM IST

Updated : Aug 3, 2019, 9:35 AM IST

কলকাতা, 3 অগাস্ট : তৃণমূল কাউন্সিলরকে 'ডাকাত কাউন্সিলর' বলে আক্রমণ ওয়ার্ড সভাপতির । গতকাল এই সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি । যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই । যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন । তিনি বলেন, "আমাদের কোনও কাউন্সিলর কাটমানি খান না ।"

কলকাতা পৌরনিগমের 40 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপ্না দাস । ওই ওয়ার্ডেরই সভাপতি পার্থ বসু । তিনিই আবার সোনালি গুহর স্বামী ৷ ওয়ার্ডে প্রভাবও রয়েছে যথেষ্ট ৷ বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের সদ্ভাব ছিল না । এরপর পার্থবাবু কাল একটি ফেসবুক পোস্ট করেন । লেখেন, 'আমি আর ডাকাত পৌরমাতার সঙ্গে নেই ।' যা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়, তাহলে কি BJP-তে যাচ্ছেন ওয়ার্ড সভাপতি ? তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি । পার্থবাবু অবশ্য বলেন, "আমি সত্যিটা তুলে ধরেছি । BJP-তে যাওয়ার প্রশ্ন নেই ।" তাহলে স্বপ্নার বিরুদ্ধে পোস্ট কেন ? পার্থবাবুর জবাব, "স্বপ্না দাসের ভয়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ । এলাকায় যে কোনওরকম কাজের জন্যই মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হয় তাঁকে । এলাকার ছোটো-বড় দোকানদারদের থেকে নিয়মিত অর্থ নেন ।"

abusive facebook  post
পার্থ বসুর ফেসবুক পোস্ট

লোকসভা নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে খারাপ ফলের জন্যও কাউন্সিলরকে দায়ি করেন ওয়ার্ড সভাপতি । বলেন, "উনি প্রকাশ্যে অর্থ নেন । এলাকাবাসীর কাছে খারাপ প্রভাব পড়েছে । নির্বাচনে আমরা সামান্য ভোটে হেরেছি । তাই, প্রতিবাদ জানিয়ে এই পোস্ট ।"

swapna das
40 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপ্না দাস

পার্থবাবুর পোস্টের পরই মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করেন স্বপ্না । দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় । পরে সাংবাদিকদের সামনে প্রথমে দু'জনেই মুখ খুলতে চাননি । স্বপ্না বলেন, "ওঁর কথার কোনও জবাব দেব না ।" মেয়র অবশ্য পরে বলেন, "তৃণমূলের কেউ কাটমানি খায় না । কাটমানি, ব্ল্যাকমানি মানে BJP । ওদেরই বিধায়র ধর্ষণ করে । খুনের চেষ্টা করে । এসব আমরা করি না ।"

কলকাতা, 3 অগাস্ট : তৃণমূল কাউন্সিলরকে 'ডাকাত কাউন্সিলর' বলে আক্রমণ ওয়ার্ড সভাপতির । গতকাল এই সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি । যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই । যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন । তিনি বলেন, "আমাদের কোনও কাউন্সিলর কাটমানি খান না ।"

কলকাতা পৌরনিগমের 40 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপ্না দাস । ওই ওয়ার্ডেরই সভাপতি পার্থ বসু । তিনিই আবার সোনালি গুহর স্বামী ৷ ওয়ার্ডে প্রভাবও রয়েছে যথেষ্ট ৷ বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের সদ্ভাব ছিল না । এরপর পার্থবাবু কাল একটি ফেসবুক পোস্ট করেন । লেখেন, 'আমি আর ডাকাত পৌরমাতার সঙ্গে নেই ।' যা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়, তাহলে কি BJP-তে যাচ্ছেন ওয়ার্ড সভাপতি ? তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি । পার্থবাবু অবশ্য বলেন, "আমি সত্যিটা তুলে ধরেছি । BJP-তে যাওয়ার প্রশ্ন নেই ।" তাহলে স্বপ্নার বিরুদ্ধে পোস্ট কেন ? পার্থবাবুর জবাব, "স্বপ্না দাসের ভয়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ । এলাকায় যে কোনওরকম কাজের জন্যই মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হয় তাঁকে । এলাকার ছোটো-বড় দোকানদারদের থেকে নিয়মিত অর্থ নেন ।"

abusive facebook  post
পার্থ বসুর ফেসবুক পোস্ট

লোকসভা নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে খারাপ ফলের জন্যও কাউন্সিলরকে দায়ি করেন ওয়ার্ড সভাপতি । বলেন, "উনি প্রকাশ্যে অর্থ নেন । এলাকাবাসীর কাছে খারাপ প্রভাব পড়েছে । নির্বাচনে আমরা সামান্য ভোটে হেরেছি । তাই, প্রতিবাদ জানিয়ে এই পোস্ট ।"

swapna das
40 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপ্না দাস

পার্থবাবুর পোস্টের পরই মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করেন স্বপ্না । দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় । পরে সাংবাদিকদের সামনে প্রথমে দু'জনেই মুখ খুলতে চাননি । স্বপ্না বলেন, "ওঁর কথার কোনও জবাব দেব না ।" মেয়র অবশ্য পরে বলেন, "তৃণমূলের কেউ কাটমানি খায় না । কাটমানি, ব্ল্যাকমানি মানে BJP । ওদেরই বিধায়র ধর্ষণ করে । খুনের চেষ্টা করে । এসব আমরা করি না ।"

Intro:আমি আর ডাকাত পুরমাতার সাথে নেই,গতকাল 40 নম্বর ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট নিজের ফেসবুকে এমনই পোস্ট করেন। এই পোস্টকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। 40 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপ্না দাস এর বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেছেন পার্থ বসু। পার্থ বসু সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছেন স্বপ্না দাস এর বিরুদ্ধে। পার্থ বসু বলেন স্বপ্না দাস এর ভয়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। এলাকায় যে কোনো রকম কাজের জন্যই মোটা অংকের অর্থ দিতে হয় স্বপ্না দাস কে। নতুন বাড়ি থেকে পুরনো বাড়ি মেরামতির সবক্ষেত্রেই মোটা অর্থের পরিমাণ দিতে হয় কাউন্সিলর স্বপ্না দাস কে। এমনকি এলাকার ছোট বড় দোকানদারদের নিয়মিত অর্থ দিতে হয় কাউন্সিলর স্বপ্না দাস কে।


Body:পার্থ পার্থ বসু জানিয়েছেন গত নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের কারণ কাউন্সিলারের এইভাবে প্রকাশ্যে অর্থ নেওয়া। এলাকার মানুষের মধ্যে খারাপ বার্তা গিয়ে পৌঁছেছে দল সম্পর্কে। এর ফলে গত নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল সামান্য ভোটে হেরেছে। তাই আমি প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে এই পোস্ট দিয়েছি। অবশ্য দলের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি তবে ফিরহাদ হাকিম ডাকলে অবশ্যই যাবো এবং গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসবো।
আজ 40 নম্বর ওয়ার্ডের পৌর মাতা স্বপ্না দাস কলকাতার মহানাগরিক শ্রীরাধা কিমের সঙ্গে এসে দেখা করেন।


Conclusion:এবং পার্থ বসু সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রকাশ্যে ফেসবুকে ডাকাত পুর মাতা লেখার ঘটনাটি তিনি মেয়রের কাছে জানিয়েছেন। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম কোনরূপ মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং তিনি জানিয়েছেন কাট মানি তোলাবাজির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন কর্মী সমর্থক মন্ত্রী জড়িত নেই। ফিরহাদ হাকিম বলেন কাট মানি বিজেপি নায় ধর্ষণ বিজেপি করে আমরা এসব করি না।
Last Updated : Aug 3, 2019, 9:35 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.