কলকাতা, 20 এপ্রিল : গোরু পাচার কাণ্ড নিয়ে সিবিআইয়ের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি ৷ হঠাৎ করে সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ বলেন, এতদিন সিবিআই কি ঘুমোচ্ছিল ?
কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন বিনয় মিশ্র। বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চে বিনয় মিশ্রর হয়ে ওই মামলার সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, "গোরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এনামুল হকের কর্মচারী মনোজ সানা নামে এক ব্যক্তি ৷ তিনি কোনও এক দম্পতিকে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন বলে তার ডায়েরি থেকে উল্লেখ পাওয়া গেছে । কিন্তু এই লেনদেনে কোথাও বিনয় মিশ্রের নাম উল্লেখ নেই । পাশাপাশি লেনদেন হয়েছিল 4-5 বছর আগে ৷ এতদিন পরে হঠাৎ করে সিবিআই এফআইআর করল কেন, সিবিআই কি এতদিন ঘুমিয়ে ছিল?"
আরও পড়ুন-করোনার জের, মালদায় মোদির সভায় দর্শকাসনে 500, মঞ্চে 4
এপ্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের এস্টাবলিশ আইনের একটি ধারার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ৷ তিনি বলেন, "দিল্লি পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট আইনের 6 ধারা অনুযায়ী কেন্দ্র সরকার রাজ্যের এক্তিয়ারে এসে তদন্ত করতে পারে । কিন্তু কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া তদন্ত করতে হলে সেই রাজ্যের অনুমতি নেওয়া বাধ্য়তামূলক ৷ রাজ্য এই ব্যাপারে তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে 2018 সালের নভেম্বর মাসে । তা হলে রাজ্যের অনুমতি না নিয়ে কী করে সিবিআই তদন্ত করবে?"
এপ্রসঙ্গে তিনি কয়লাকাণ্ডের লালার প্রসঙ্গ টেনে এনে আদালতের কাছে আর্জি করেন, সুপ্রিম কোর্ট অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছে। বিনয় মিশ্রের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হোক । তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে তৈরি আছেন।
কিন্তু সিবিআইয়ের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ওয়াই যে দস্তুর বলেন , "রাজ্য যে সম্মতি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি কোথায় ? পাশাপাশি বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ৷ শুধুমাত্র একটি, দুটি দিকে আলোকপাত করলেই হবে না।"
কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার নামের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর। তারপর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করতে মরিয়া সিবিআই । কিন্তু তাঁর হদিশ পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । লালার বিরুদ্ধে এফআইআর- এর পাশাপাশি ইতিমধ্যেই লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে ৷