কলকাতা 25 মে : লোকসভা ভোটে খারাপ ফলাফলের পর দলকে ঢেলে সাজাতে ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে বহু নেতা এলেও, আলাদা করে কোনও জেলার দায়িত্ব দিলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে । শুধু ভোটার তালিকা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে । এবার মমতা যে নিজেই দলকে বেশি সময় দেবেন তা স্পষ্ট করে জানান তিনি ।
আজ কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানেই সংগঠনের খোলনলচে বদলানোর নির্দেশ দেন তিনি । উল্লেখ্য, তৃণমূলের বিপর্যয়ের বেশির ভাগটাই ঘটেছে উত্তরবঙ্গে । আজকের মমতার ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায়নি উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক নেতাকেই ।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে গৌতম দেবকে । তার জায়গায় আনা হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে । মুর্শিদাবাদ, জঙ্গলমহল, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে । ঝাড়গ্রামের দায়িত্ব পেয়েছেন বীরবাহা সোরেন । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি হয়েছেন অর্পিতা ঘোষ এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি করা হয়েছে কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে । উত্তর দিনাজপুর জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে অমল আচার্যকে । হুগলি জেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রত্না দে নাগকে । এর পাশাপাশি তিনজনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে । তাঁরা হলেন অসীমা পাত্র, দিলীপ যাদব এবং প্রবীর ঘোষাল । বিষ্ণুপুর জেলা সভাপতি করা হয়েছে শ্যামল সাঁতরাকে । বর্ধমান পূর্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে । মালদা উত্তরের সভাপতি এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের সভানেত্রী করা হয়েছে মৌসম নুরকে । মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি হয়েছেন আবু তাহের । মালদা দক্ষিণ জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোয়াজ্জেম হোসেনকে । পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি করা হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে । এছাড়াও রানাঘাটে শংকর সিং, কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে । বাঁকুড়া জেলা সভাপতি করা হয়েছে শুভাশিস বটব্যালকে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের সংসদীয় কমিটিতেও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে । সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে । ডেপুটি চেয়ারম্যান হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার । চিফ হুইপ করা হয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে । HRBC-র দায়িত্ব পেয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী ।