কলকাতা, 21 জুন: অবিজেপি বিরোধী দলের বৈঠকে পটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তৃণমূলের অন্দরে এবং বাইরে মোটামুটি সকলেই একবাক্যে মেনে নিয়েছেন, এই মুহূর্তে তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' তিনিই ৷ দলের অন্দরে তো বটেই, এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই তাঁর দোর্দণ্ড প্রভাব প্রশ্নাতীত। এবার জাতীয় রাজনীতিতে দলীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অভিষেকের উপরেই নির্ভর করছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ? পটনায় বিরোধীদের বৈঠকেও অভিষেককে সঙ্গে করে মমতার নিয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে তাঁর গুরুত্ব আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নামখানার জনসভা থেকেই কার্যত অভিষেকের হাতে দলের অনেকখানি ব্যাটন তুলে দিয়েছেন মমতা ৷ এবার রাজ্যের গণ্ডী ছাড়িয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও অভিষেককে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জাতীয় ক্ষেত্রে জোট নিয়ে আলোচনায় আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পটনায় যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সফরে মমতার সফর সঙ্গী হচ্ছেন অভিষেক। তিনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই পটনা যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে জাতীয় রাজনীতিতে অভিষেককে আরও গ্রহণযোগ্য মুখ হিসাবে তুলে ধরতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও শাসক দল অভিষেকের এই পটনা যাত্রায় যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু পুলিশের
শাসক দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বা জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। জাতীয় ক্ষেত্রেও তিনি কতটা গ্রহণযোগ্য মুখ তা আরও স্পষ্ট হয়, যখন বিভিন্ন রাজ্যের নেতারা তাঁর কাছে আসেন তাতেই। কিন্ত ভুলে গেলে চলবে না যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সে ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনিও এ ধরনের বৈঠকগুলোতে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। সবচেয়ে বড় কথা, অতি সম্প্রতি গত 60 দিন ব্যাপি নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ করেছেন। তাতে যেভাবে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে এবারই প্রথম নয়, দিল্লিতে জাতীয় দলগুলির সঙ্গে বৈঠকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই গিয়েছিলেন। এবারও তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় মনে করা হচ্ছে জাতীয় ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব বাড়ছে এই যুব নেতার।